হাওর অঞ্চলে কৃষি বীমার গুরুত্ব নিয়ে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের কর্মশালা

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তত্ত্বাবধানে হাওর অঞ্চলের জন্য সূচক ভিত্তিক কৃষি বীমার গুরুত্ব নিয়ে সম্প্রতি সিরডাপ (সিআইআরডিএপি) কেন্দ্রে কর্মশালা করেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। স্বাগত বক্তব্য দিয়ে কর্মশালার উদ্বোধন করেন গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে মানুষের দুর্দশা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া হাওর অঞ্চলে বসবাসরত কৃষকদের বীমার আওতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি কীভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে গ্রামীণ খাতের অবদান নিশ্চিতকরণ ও জাতীয় জিডিপিতে কৃষির অবদান আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে তিনি আলোকপাত করেন।

ফারজানা চৌধুরী বলেন, ‘সারা দেশে কৃষি বীমার সম্প্রসারণই দীর্ঘমেয়াদী এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে দেশকে সহায়তা করবে’। পরবর্তীতে ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর যাত্রা তুলে ধরার পাশাপাশি সারা দেশে শস্য বীমা ও প্রাণিসম্পদ বীমা থেকে প্রাপ্ত মাইলফলকগুলির কথা উল্লেখ করেন তিনি।    

উদ্বোধনী বক্তব্যের পরে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সারাদেশ জুড়ে শস্য বীমা প্রতিষ্ঠায় তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এর আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের নির্দেশনা মতে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব হাওর অঞ্চলে এক বছরের দীর্ঘ পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে এই উদ্যোগ শুরু হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের রক্ষার জন্য সরকার এবং অন্যান্য সংস্থাগুলির এগিয়ে আসা উচিত এবং বীমা আকারে সহায়তা প্রদান করা উচিত যাতে করে ইতোমধ্যে সরকারের সরবরাহ করা অন্যান্য আর্থিক সহায়তার সরবরাহ ব্যয় এবং সুযোগ ব্যয় পরিমাপ করা যায়।

তিনি আরও বলেন, মুজিব বর্ষে সরকার বীমায় অনুপ্রবেশ ১ শতাংশ বাড়ানোর লক্ষ্য স্থির করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে আমাদের এই প্রকল্পটি শুরু করা উচিত এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমেই এই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।

সমগ্র বিশ্বে কৃষি বীমা অধিক ভর্তুকিযুক্ত এবং মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধীনে অনুশীলন করা হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিবছর সরকারের অর্থের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করছে এবং খাদ্য নিরাপত্তাকেও ঝুঁকিতে ফেলছে। তবুও বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্র কেবল প্রধান খাদ্যই নয় বরং অন্যান্য জাতের কৃষি- উৎপাদনের নিশ্চয়তা প্রদানের ক্ষেত্রেও অনেক উন্নতি করে চলেছে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাফর ইকবাল এনডিসি, উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন, বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি প্রধান অনুষদ সদস্য এস এম ইব্রাহিম হোসাইন, কলম্বোয় ইন্টারন্যাশনাল ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউট (আইডাব্লিউএমআই)’র রিজিওনাল রিসার্চার সুরজিত ঘোষ, সেভ আর্থ ক্লাইমেট সার্ভিসেস এর প্রধান উপদেষ্টা ড. শামীম হাসান ভূঁইয়া, ইভিপি ও হেড অব ইম্প্যাক্ট বিজনেস সুবাশিষ বড়ুয়া এবং আলী তারেক পারভেজ, এসভিপি, এগ্রিকালচার টিম, ইম্প্যাক্ট বিজনেস, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)