জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় হাতিয়ার এখন বীমা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: উন্নত দেশগুলোতে মাত্রাতিরিক্তি জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে ভয়াবহ পর্যায়ে যাচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। যার কারণে হিমবাহের বরফ গলে যাচ্ছে, সমুদ্র উত্তপ্ত হচ্ছে, বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ঘুর্ণিঝড়, বন্যা, খরার মতো মারাত্মক আবহাওয়ায় বাধাগ্রস্ত করছে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র দেশগুলো।

জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে তুলতে দরিদ্র এসব দেশের সহায়তায় ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (আইডিএফ)’র সঙ্গে অংশীদার ভিত্তিতে কাজ করবে জাতিসংঘ, জার্মানি ও যুক্তরাজ্য। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বীমাকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে ২০২৫ সালকে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য বীমা স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল গঠনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে জলবায়ু বিষয়ক সম্মেলনে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। ইউএন ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট নামে এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, ব্যবসায়ী নেতা এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্মেলনের জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বিশ্বনেতাদের কাছে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জানতে চান।

বীমা কোম্পানি চাব লিমিটেড’র সিইও ইভান গ্রিনবার্গসহ অন্যান্য নির্বাহীরা সতর্ক করেছিলেন যে, জলবায়ু পরিবর্তন একটি বাস্তবতা যা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা পুনরাবৃত্তি এবং তীব্রতর করবে। ঝুঁকি মডেলিং সংস্থা আরএমএস’র মতে, সাম্প্রতিকতম প্রাকৃতিক বিপর্যয়গুলোর মধ্যে একটি হারিকেন ডরিয়ান। এ মাসের শুরুতে যেটা বাহামাসে আঘাত হেনে বীমাকারীদের ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি করেছিল।

ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট সম্মেলনের ঘোষণায় বলা হয়েছে, বৈশ্বিক ঝুঁকির অর্থায়ন সুবিধায় যুক্তরাজ্য সরকার ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত অর্থ অনুদান দেবে। কোন দুর্যোগের পরে দ্রুত অর্থায়নের জন্য বৈশ্বিক ঝুঁকির অর্থায়ন সুবিধা ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল। আর এটা জার্মান সরকারের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত হয়। অন্যান্য বীমা কোম্পানির পাশাপাশি এই উদ্যোগের সঙ্গে অ্যালিয়াঞ্জ এসই, এক্সা এবং মিউনিক রি আছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। (সূত্র: ব্লুমবার্গ)