বন্যায় চাপে ইন্দোনেশিয়ার বীমাখাত

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা ও এর আশেপাশের কয়েকটি শহরে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষয়ক্ষতির দাবি পরিশোধ করতে চাপের মধ্যে পড়েছে দেশটির বীমাখাত। সাম্প্রতিক এ দুর্যোগে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ৬৬ জন ছাড়িয়েছে।

তবে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে বীমা দাবির পরিমাণ বাড়লেও প্রিমিয়াম হার না বাড়ানোর কথা ভাবছে দেশটির নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। তারা বলছে, ক্ষয়ক্ষতি বাড়লেও খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি দেশের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায়।

ইন্দোনেশিয়ার জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক দদি আহমদ সুদিয়ার দালিমুন্থে বলেন, সম্প্রতি জাকার্তা, বগর, দিপক, তানজেরাং এবং বেকাসি এলাকায় বন্যার আঘাতে সম্পত্তির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয় এর ফলে নন-লাইফ বীমার দাবি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ দেশের একটা বড় অংশে আঘাত হেনেছে। তবে এর ফলে নন-লাইফ বীমা শিল্পে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় খুব একটা প্রভাব পড়বে না। বর্তমানে ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনা নন-লাইফ বীমার নিয়ন্ত্রণে আছে।

দেশটির বীমা শিল্পের একজন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঝুঁকি বৃদ্ধি সত্ত্বেও অদূর ভবিষ্যতে মটর বীমা এবং সম্পত্তির বীমায় প্রিমিয়াম হার বাড়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই।

খারাপ আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট উচ্চ ঝুঁকি বর্তমান প্রিমিয়াম হার দিয়ে কমবেশি কভার করা সম্ভব বলে মনে করেন আসুরান্সি জাসা ইন্দোনেশিয়ার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পরিচালক সাহাতা লুমবান তবিং।

অধিকন্তু তিনি আরো বলেন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ না করা পর্যন্ত বীমায় প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করা হবে না, প্রিমিযাম বৃদ্ধিতে নন-লাইফ বীমা কোম্পানির চুক্তির প্রয়োজন রয়েছে।

সুরক্ষার জন্য যেকোনো পরিমাণের প্রিমিয়াম পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে। প্রিমিয়াম পরিবর্তন ও ঝুঁকির বিষয়টি বীমা কোম্পানিগুলোতে আলোচনা করা হবে। এরপর ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস অথরিটির (ওজেকে) মাধ্যমে এটা নির্ধারণ করা হবে।