থাইল্যান্ডে ধানের বীমা কভারেজ দিচ্ছে ১৭ বেসরকারি কোম্পানি

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: চলতি মৌসুমের জন্য ধান বীমা পরিকল্প অনুমোদন দিয়েছে থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল রাইস পলিসি কমিটি (এসআরপিসি) । ২.৯১ বিলিয়ন থাই বাথ তথা ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যবান এই প্রকল্পে ৪৫.৭ মিলিয়ন রাই বা ৭.৩ মিলিয়ন হেক্টর জমির ধান বীমার আওতায় নেয়া হবে। দেশটির ১৭টি বেসরকারি বীমা কোম্পানিকে এই বীমা কভারেজ দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে থাইল্যান্ডের মন্ত্রিসভা।

অফিস অব দি ইন্স্যুরেন্স কমিশন (ওআইসি) এর সেক্রেটারি জেনারেল ড. সুতিফন থাভিচাইয়াগরন বলেছেন যে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত ধান বীমা প্রকল্পের নীতিমালা অনুমোদনের মাধ্যমে গত ২১ এপ্রিল মন্ত্রিসভা একটি প্রস্তাব পাস করে। মন্ত্রিসভা এ বছর ৪৫.৭ মিলিয়ন রাই বা ৭.৩ মিলিয়ন হেক্টর জমির ধান বীমার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এক্ষেত্রে ২.৯১ বিলিয়ন থাই বাথ বা ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত প্রিমিয়াম সহায়তা দেবে সরকার।

মন্ত্রিসভা অফিস অব দি ইন্স্যুরেন্স কমিশনকে এই ধান বীমা প্রকল্প হালনাগাদকরণ, আন্ডাররাইটিং মানদণ্ড এবং প্রিমিয়াম হার নির্ধারণের পাশাপাশি প্রকল্পটি প্রচারের দায়িত্ব দিয়েছে। অবিলম্বে প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে মন্ত্রিসভা। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে এ খবর দেয়া হয়েছে।

চলতি উৎপাদন বছরের এই প্রকল্পে চার ধরণের ধান বীমা পলিসি সুবিধা দেবে:

১। কৃষি ও কৃষি সমবায় ব্যাংক (বিএএসি) থেকে ধান সম্পর্কিত ঋণ গ্রহীতাদের জন্য,

২। স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে ধান চাষীদের জন্য,

৩। ক্ষুদ্র জোতদার গোষ্ঠীগুলোর জন্য (মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স) এবং

৪। ক্ষুদ্র জোতদার গোষ্ঠীগুলোর জন্য (মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স) চাহিদা মতো অতিরিক্ত কভারেজ। 

ধান বীমা প্রকল্পটি বন্যা বা ভারী বৃষ্টিপাত, খরা, ঝড়ো বাতাস বা তাইফুন, ঠান্ডা বা তুষারপাত, শিলাবৃষ্টি, আগুন এবং বন্য হাতির কারণে ক্ষতির জন্য বীমা কভারেজ দেবে। চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল, ৩১ মে এবং ৩০ জুন এবং ৩১ ডিসেম্বর ধান বীমার পলিসি বিক্রি করা হবে। তবে ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী বীমা পলিসি বিক্রয় সমাপ্তির তারিখ পরিবর্তিত হবে।