বীমা বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনতে নতুন প্রবিধান করছে পাকিস্তান

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমা পলিসি বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনতে নতুন প্রবিধান করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। মতামত গ্রাহণের জন্য এরইমধ্যে খসড়া বিধিমালাটির কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। করপোরেট ইন্স্যুরেন্স এজেন্টস রেগুলেশন্স, ২০২০ নামের এই বিধিমালা চূড়ান্ত হলে বাতিল হয়ে যাবে আগের দু’টি বিধিমালা।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি)’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকাস্যুরেন্স এবং সম্ভাব্য বীমা গ্রাহকদের কাছে মিস-সেলিং বা ভুল বীমা বিক্রি কমানোসহ বাণিজ্যিক বীমা কর্মীদের ওপর নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা শক্তিশালী করাই প্রস্তাবিত প্রবিধানমালার উদ্যেশ্য।  

প্রবিধানমালাটি সম্ভাব্য বীমা গ্রাহকদের কাছে আরো উন্মোচনের মাধ্যমে বিক্রয় প্রক্রিয়াটিকে আরো জোরদার করবে। নতুন এই প্রবিধানমালায় কলব্যাক কনফারমেশন বা ত্রুটিযুক্ত পণ্য প্রত্যাহার নিশ্চিত করার জন্য মৌলিক তথ্য অন্তর্ভুক্ত করে বিক্রয়োত্তর কলব্যাক করফারমেশন প্রক্রিয়াটি উন্নত হয়েছে।

এ ছাড়াও বীমা গ্রাহককে প্রদত্ত পলিসি সংক্রান্ত সব ধরণের নথিপত্র গ্রাহকের পছন্দমতো ভাষায় প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে নতুন এই প্রবিধানে। এ ক্ষেত্রে বীমা গ্রাহক ইংরেজি অথবা উর্দু ভাষায় বীমার নথিপত্র চাইতে পারবেন।

প্রস্তাবিত প্রবিধানমালায় ডিজিটালাইজেশন, স্বয়ংক্রিয় কমিশন ক্ল-ব্যাক (জরিমানাসহ প্রদত্ত অর্থ ফেরত দেয়ার) বিধান প্রবর্তন, ন্যূনতম প্রিমিয়াম বরাদ্দের হার এবং কমিশনের হারকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা ইত্যাদিকে উৎসাহ দেয়া হয়েছে।

স্টেকহোল্ডারদের পরামর্শের আলোকে যখন প্রবিধানমালাটি চূড়ান্ত করা হবে তখন ব্যাংকাস্যুরেন্স রেগুলেশনস ২০১৫, করপোরেট ইন্স্যুরেন্স এজেন্টন্স (ব্যাংক বাদে) এবং টেকনোলজি বেজড ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলস ২০১৭ বাতিল হয়ে যাবে।

খসড়া প্রবিধানমালাটি এসইসিপি’র ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আগ্রহী ব্যক্তিরা এসআরও’র তারিখের ৩০ দিনের মধ্যে প্রস্তাবিত বিধিমালা সম্পর্কে তাদের পরামর্শ বা মন্তব্য জমা দিতে পারেন। (সূত্র: দ্য নেশন)