বীমা দাবি আদায়ে আদালতে হোটেল-রেস্তোরাঁ-বারের মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বীমা দাবির টাকা আদায় করতে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন জার্মানির বাভারিয়ার হোটের-রেস্তোরাঁ-বারের মালিকরা। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে রাষ্ট্রীয় ঘোষিত দু’মাসের লকডাউনে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠান। অতিথিসেবার এই শিল্পের কিছু প্রতিষ্ঠান ১.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বীমা দাবি করেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুর দিকে লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কিছু আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছিল বাভেরিয়ান রাজ্য। ক্ষতির বাকী অংশ একক বীমা পলিসির আওতায় নেয়া হয়। যেখানে বীমা দাবির ১৫ শতাংশ কভার করার প্রস্তাব দিয়েছিল বীমা কোম্পানিগুলো।

কিন্তু কার্ল-হেইঞ্জ জাচর, সেন্ট এমমারামস্মাহল বিয়ার গার্ডেনের মতো অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক দাবি করেন যে এটি যথেষ্ট নয়। তারা বলেন, রেস্তোরাগুলা দৈনিক হারের সাথে যুক্ত করে দাবি পরিশোধের জন্য বীমা পলিসি কিনেছিল। কিন্তু বীমা কোম্পানি কেন চুক্তি অনুসারে অর্থ প্রদান করে না?

বাভারিয়ার সংক্রমণ সুরক্ষা আইনে কোভিড-১৯ কে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। তবে অনেক বীমা পলিসিতে শর্তগুলো এই আইনটির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি। এর আগে কখনো এ জাতীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি বীমা কোম্পানিগুলো। যার কারণে তাদের পলিসিগুলোতে উল্লেখিত ভাষার বিষয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে।

বীমা কোম্পানিগুলো যুক্তি দেখান যে, বীমা পলিসিগুলোর অনেকটিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে সংক্রামিত ব্যক্তির কারণে বন্ধের ক্ষেত্রে এই কভারেজ, কিন্তু যখন সংক্রমণ ছাড়াই প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে তখন এটি কার্যকর নয়। আরেকটি যুক্তি দেখাচ্ছে বীমা কোম্পানিগুলো। তারা বলছে, অনেক প্রতিষ্ঠান এখনও দূরে বিক্রয় পরিষেবা দেয়, যা ছিল প্রযুক্তিগতভাবে, কিন্তু পুরোপুরি বন্ধ নয়।

কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বন্ধের ক্ষতিপূরণ আদায়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সর্বমোট ৭২টি অভিযোগ গ্রহণ করেছে মিউনিখের আঞ্চলিক আদালত এবং এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষা-সংক্রান্ত সুবিধসহ খাদ্য এবং হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে এসব প্রতিষ্ঠান।

বিশ্বজুড়ে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান তাদের বীমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ে লড়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লাখ ৭০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্যে ব্রিটিশ বিচারকরা রায় দিয়েছিলেন যে বীমা কোম্পানিগুলোর দাবি প্রত্যাখ্যান করা ভুল ছিল।