শস্য বীমার আওতায় ভারতের ২৯ কোটি কৃষক

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: ভারতের ২৯ কোটি কৃষক এখন শস্য বীমার আওতায়। বাকীদেরও এই বীমার আওতায় আনতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটির সরকার। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই)’র মাধ্যমে এসব কৃষককে বীমা সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এই উদ্যোগের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দেশটির কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং বলেন, শস্য বীমা হচ্ছে কৃষকের একমাত্র রক্ষাকবচ। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে উদ্ভুত শস্যের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে এই বীমা। আর এজন্যই ২৯ কোটি কৃষক তাদের শষ্যকে বীমার আওতায় নিয়ে এসেছে। এ ছাড়াও প্রতি বছর সাড়ে ৫ কোটি কৃষক নতুন করে এই বীমার আওতায় আসছে। গেলো পাঁচ বছরে সরকার ৯০ হাজার কোটি রুপি বীমা দাবি পরিশোধ করেছে।

২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয় প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (পিএমএফবিওয়াই) । সর্বনিম্ন প্রিমিয়ামের বিনিময়ে দেশের কৃষকদের ব্যাপক ঝুঁকির কভারেজ দিতে এই বীমা প্রকল্পে যাত্রা শুরু। ভিডিও বার্তায় কৃষি মন্ত্রী বলেন, আজকের এই দিনে আমি আবারও কৃষকদের অভিনন্দন জানাতে চাই এবং সহযোগী কৃষক ও আত্মীয়দের এই শস্য বীমার সুবিধা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি।

পিএমএফবিওয়াই প্রকল্পে গৃহীত প্রিমিয়ামের ক্ষেত্রে কৃষকের জন্য নির্ধারিত অংশের অতিরিক্ত অংশ আধাআধিভাবে ভর্তুকি প্রদান করে দেশের কেন্দ্রিয় সরকার ও রাজ্য সরকার। বর্তমানে পূর্বে নির্ধারিত প্রতি হেক্টর জমির গড় বীমা অংক ১৫ হাজার একশ’ রুপি থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার সাতশ’ রুপি করা হয়েছে।

আধার চালু হওয়ায় সরাসরি কৃষকের অ্যাকাউন্টে অর্থ পাঠানোর মাধ্যমে দ্রুত বীমা দাবি নিষ্পত্তি করতে সহায়তা করেছে। এমনকি করোনা মহামারীর কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতেও প্রায় ৭০ লাখ কৃষকের বীমা দাবি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এ সময় ৮ হাজার ৭৪১ কোটি রুপিরও বেশি বীমার অর্থ সুবিধাভোগীদের কাছে স্থানান্তর করা হয়েছে। (সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড)