সার্বজনিন স্বাস্থ্য বীমা আইন প্রণয়ন করলো নেপাল

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সার্বজনিন স্বাস্থ্য বীমা চালু করছে নেপাল। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি বিল পাস করেছে দেশটির পার্লামেন্ট। সংবিধানের ২৯৬(১) ধারা অনুসারে এই স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। এরআগে গত ১১ এপ্রিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় (এমওএইচ) কর্তৃক উত্থাপিত বিলটি মন্ত্রীদের কাউন্সিল অনুমোদন দেয়।

নেপালের স্বাস্থ্য বীমা আইনে পোষ্ট পেইড সিস্টেমের মাধ্যমে বীমা পলিসি গ্রাহকদের আর্থিক ঝুঁকি হ্রাস করতে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করা প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়। আশা করা হচ্ছে এই স্বাস্থ্য বীমা ব্যবহার করে দেশটির সাধারণ মানুষের আর্থিক বোঝা অনেকটাই হ্রাস করা সম্ভব হবে।

দরিদ্র জনগোষ্ঠী, অক্ষম, একক নারী, জ্যেষ্ঠ নাগরিক এবং অনাথ শিশুদের জন্য সরকারকে বীমা প্রিমিয়াম বহন করার জন্য নতুন আইনের একটি বিধান আছে। কর্মসংস্থানের জন্য যারা বিদেশে গমন করেছে, বেসামরিক কর্মচারী, এবং অনানুষ্ঠানিক খাতে কাজ করে এমন ব্যক্তিদের পরিবারগুলো বাধ্যতামূলকভাবে এই স্বাস্থ্য বীমাতে যুক্ত হয়েছে।

পাঁচ সদস্যের একটি পরিবার স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পে যুক্ত হতে পারবে। এক্ষেত্রে এক বছরের জন্য তাদেরকে প্রিমিয়াম দিতে হবে ২ হাজার ৫শ' রুপি বা ২৪ মার্কিন ডলার।এর বিপরীতে সরকারি হাসপাতাল অথবা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে তারা ৫০ হাজার রুপি পর্যন্ত বীমা কভারেজ পাবেন।

এছাড়া যেসব পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৫ জনের বেশি সেক্ষেত্রে প্রতিটি অতিরিক্ত সদস্যের কভারেজের জন্য ৪৫০ রুপি অতিরিক্ত প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে। এর বিপরীতে প্রতিটি অতিরিক্ত সদস্য ১০ হাজার রুপি বীমা কভারেজ পাবেন বলে জানিয়েছে কাঠমান্ডু ট্রিবিউন।

প্রতিবছর বীমা পলিসি নবায়ন করতে হবে। এই বীমার আওতায় গ্রাহকরা ঔষধসহ ডায়াগনসিস এবং ল্যাব টেস্টেরও সুযোগ পাবেন। তবে প্লাস্টিক সার্জারি, ব্যয়বহুল চশমা, শ্রবণশক্তির চিকিৎসা এবং মধ্যপ অবস্থায় কোন আঘাত প্রাপ্ত হলে এই স্বাস্থ্য বীমার আওতায় কোন সেবা গ্রহণ করবে পারবে না।