ইসলামী জীবন বীমা ঘরে ঘরে পৌঁছাতে চাই: ইউসুফ আলী মৃধা

ঘরে ঘরে ইসলামী জীবন বীমার সেবা পৌঁছে দিতে চান নতুন জীবন বীমা কোম্পানি জেনিথ ইসলামী লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউসুফ আলী মৃধা । ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মনোভাবের কথা জানান। ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটি (আইডিআরএ) থেকে সম্প্রতি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনের অনুমোদন পান ইউসুফ আলী মৃধা ।

এর আগে তিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়ে তিনি অন্য দায়িত্বের পাশাপাশি ইসলামী বীমার দুইটি প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বলেন, পপুলার লাইফের মোট প্রিমিয়াম আয়ের ৭৫ শতাংশই আসত ইসলামী বীমা প্রকল্প থেকে। এরপরও বীমা আইন অনুসারে ইসলামী বীমা ব্যবসার নীতিমালায় স্বচ্ছতা আসেনি।তখন থেকে ইসলামী বীমা কোম্পানিতে প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালনের স্বপ্ন দেখতেন।

ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট ও রেগুলেটরি অথরিটি (আইডিআরএ) থেকে সম্প্রতি জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কাজ করার অনুমোদন পান তিনি।

তিনি জানান, বাংলাদেশের বীমা বাজার খুবই সম্ভাবনাময়। সাধারণ মানুষের কাছে ইসলামী জীবন বীমার আওতায় আনার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।জনাব মৃধা ১৯৯৭ সালে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের হিসাব ও অর্ বিভাগে উচ্চতর ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদানের মধ্য দিয়ে বীমা পেশায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরে উপ-মহাব্যবস্থাপক হিসেবে ২০০০ সালে যোগ দেন করেন রুপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে। একই বছরের সেপ্টেম্বরে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে যোগ দেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। এ কোম্পানিতে তিনি ছিলেন হিসাব ও অর্থ বিভাগের প্রধান। পরে এ কোম্পানিতে তিনি ২০০৫ সালে নির্বাহী পরিচালক ২০০৬ সালে উচ্চতর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ২০১১ সালে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।

জনাব মৃধা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে সর্বোচ্চ ডিগ্রি শেষ করে সিএ ফার্মে কাজ শুরু করেন। ১৯৮৩ সালে বিদেশী ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সোল এজেন্ট লিলাকের হিসাব বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তে ইস্টার প্রগেসিভ সু, সনেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও স্যামসাং গ্রুপে উচ্চতর পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি চাকরি নিয়ে চলে যান জার্মানি। সেখানে তিনি ছয় বছর কাজ করেন এশিয়ান ফেব্রিকস ও মার্সিডিজ বেঞ্চে। জনাব মৃধার জন্ম ১৯৫৬ সালে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সেনের কাটা প্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে। তার বাবা বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাজী আব্দুল লতিফ মৃধা ও মা সালেহা খাতুন।

প্রকাশের তারিখ- ২ মে, ২০১৪