যেভাবে মূখ্য নির্বাহী হয়েছিলেন আজিজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইন অনুযায়ী বীমা কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হতে হলে প্রয়োজন অব্যবহিত পূর্বের পদে তিন বছরের কর্ম অভিজ্ঞতা। তবে মাত্র ছয় মাসের অভিজ্ঞতাতেই মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হয়েছিলেন আজিজুল ইসলাম।

ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৫ নভেম্বর সাউথ এশিয়া ইন্সু্রেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ পান আজিজুল ইসলাম। পদটিতে মাত্র ছয় মাস থাকার পরই প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সে মূখ্য নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এরপর বেশ কিছু বীমা কোম্পানিতে মূখ্য নির্বাহীর দায়িত্ব পালন করেছেন আজিজুল ইসলাম। বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে।

সাবেক বীমা অধিদপ্তরের ২০০৩ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কোন বীমা কোম্পানির কর্মকর্তার ক্ষেত্রে মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ পাওয়ার শর্ত হলো অব্যবহিত পূর্বের পদের নূন্যতম ৩ বছরের অভিজ্ঞতা। একই নির্দেশনা দেয়া আছে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ ও অপসারন বিধিমালা ২০১২ তেও। তবে শুরু থেকেই আইনের এ নির্দেশনা অমান্য করেছেন আজিজুল ইসলাম।

প্রশ্ন উঠেছে, কোন একজন ব্যক্তির প্রথম নিয়োগ প্রক্রিয়া যদি অবৈধ হয়, তাহলে পরবর্তিগুলোও অবৈধ হয় কিনা।

এ প্রসেঙ্গে আজিজুল ইসলাম বলেন, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ পাবার পূর্বে ২০০২ সালে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলাম। তখন সেটাই ছিল কোম্পানিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ। এ অনুযায়ী মূখ্য নির্বাহী পদের অব্যবহিত পূর্বের পদের তিন বছরের অভিজ্ঞতার শর্তপূরণ করেই আমি মূখ্য নির্বাহী হয়েছি। এখানে আইনের কোন লঙ্ঘন হয়নি।

অভিযোগ রয়েছে, ২০০২ সালের পূর্বেই সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি ছিল। কোম্পানিটির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী এটাই কোম্পানিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ।

তবে এ বিষয়ে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) শামিম হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানাতে চাননি তিনি। বরং লিখিতভাবে প্রশ্ন পাঠানোর পরামর্শ দেন শামিম হোসাইন।