পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনিশ্চয়তায় ১৭ বীমা কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আইনের বাধ্যবাধকতা এবং অর্থমন্ত্রীর নির্দেশের পরও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ১৭টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানি। পরিশোধিত মূলধন ঘাটতি এবং ব্যবসায় লাভজনক অবস্থা না থাকায় এমন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তবে ১০টি বীমা প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

আইডিআরএ’র সদস্য ড. এম মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলো ব্যবসায়িকভাবে লাভে আসতে না পারলে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির আবেদনই করতে পারবে না। কোম্পানি কখন লোকসান থেকে লাভে আসবে সেটা অনিশ্চিত এবং সময়ের ব্যাপার। তাছাড়া ক্যাপিটাল বাড়ানোর একটা আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে, কেউ চাইলেই সাথে সাথে এটা বাড়ানো সম্ভব নয়। এজন্য বাকী কোম্পানিগুলো ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জনের চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

জানা গেছে, বীমা কোম্পানিগুলোকে অনুমোদন দেয়ার সময় ৩ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের দীর্ঘদিন পরেও ১৮টি লাইফ ও ৯টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে পারেনি। এ অবস্থায় গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর কোম্পানিগুলোকে ৩ মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন অর্থমন্ত্রী। এই প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয় আইডিআরএ। পরবর্তী অবস্থা জানতে কয়েক দফা বৈঠকও করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে বীমা আইন এবং বিএসইসি’র বিধানের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য দেখা দিয়েছে। বীমা আইন, ২০১০ এর তফসিল-১ এর ধারা ১ (ক) -তে লাইফ বীমা ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে নূন্যতম পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ১৮ কোটি টাকা উদ্যোক্তাগণের এবং অবিশষ্ট ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১২ কোটি টাকা জনসাধারণের প্রদানার্থে উন্মুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও ধারা ১ (খ) -তে নন-লাইফ বীমা ব্যবসার জন্য বাংলাদেশে নিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে নূন্যতম পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ২৪ কোটি টাকা উদ্যোক্তগণ কর্তৃক প্রদত্ত হবে ও অবিশষ্ট ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১৬ কোটি টাকা জনসাধারণ কর্তৃক প্রদানার্থে উন্মুক্ত থাকবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কর্তৃক ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সংশোধিত পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ এর ধারা ৩(সি) অনুযায়ী পরিশোধিত মূলধন হতে হবে সর্বনিম্ন ৫০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে পাবলিক মানি তথা জনগণের শেয়ারের পরিমাণ হতে হবে সর্বমনিম্ন ৩০ কোটি টাকা।

বীমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বীমা আইনের বিধান অনুসারে পুঁজিবাজার থেকে ৩০ কোটি টাকা নিলে উদ্যোক্তাদের অংশ দাঁড়ায় ৪৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিএসইসি’র সংশোধিত বিধান অনুসারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে গেলে লাইফ বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তার অংশ আরো ২৭ কোটি টাকা এবং নন-লাইফ বীমা কোম্পানির উদ্যোক্তার অংশ আরো ২১ কোটি টাকা বাড়াতে হবে। যা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা বলে মনে করছেন তারা।

এদিকে পুঁজিবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লাইফ ফান্ড ঘাটতি রয়েছে। তবে বীমা আইন অনুসারে এসব কোম্পানির পেইডআপ ক্যাপিটাল থাকলেও ঘাটতি রয়েছে বিএসইসি’র বিধান অনুসারে।

অন্যদিকে বীমা আইন এবং বিএসইসি’র আইন দুটোর বিধান অনুসারেই পেইডআপ ক্যাপিটাল ঘাটতি রয়েছে গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স, হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স ও সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। যদিও এসব কোম্পানির লাইফ ফান্ড পজিটিভ।

এ ছাড়াও বায়রা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রটেক্টিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পেইডআপ ক্যাপিটাল বিএসইসি’র সংশোধিত বিধান অনুসারে ঘাটতি রয়েছে। তবে এসব কোম্পানির লাইফ ফান্ড পজিটিভ।

নন-লাইফ খাতের অতালিকাভুক্ত বীমা কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স ও সিকদার ইন্স্যুরেন্সের পেইডআপ ক্যাপিটাল বিএসইসি’র বিধান অনুসারে ঘাটতি রয়েছে। তবে বীমা আইন ও বিএসইসি’র আইন উভয়ের বিধান অনুসারে সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের পেইডআপ ক্যাপিটাল ঘাটতি রয়েছে ।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা অর্জনকারী ৪টি লাইফ বীমা কোম্পানি হলো- সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এলআইসি অব বাংলাদেশ ও চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এ ছাড়াও নন-লাইফ বীমাখাতের ৬টি কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। সেগুলো হলো- মেঘনা ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স।

এ বিষয়ে ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, গত সেপ্টেম্বরে বিএসইসি’র নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে। এর আগেই কয়েকটি কোম্পানি আইপিও’তে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তারা আগের বিধান অনুসারেই অনুমোদন পাবে। তবে নতুন যারা আইপিওতে যেতে চাচ্ছে তাদেরকে বিদ্যমান নতুন নিয়ম মেনেই অনুমোদন নিতে হবে। অর্থাৎ বর্ধিত ক্যাপিটালেই আইপিও’তে যেতে হবে। 

তিনি বলেন, এজন্য লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোকে ক্যাপিটাল বাড়ানোর প্রক্রিয়া হাতে নিতে হবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে আসার জন্য বিধান অনুসারে ন্যূনতম লাভজনক প্রতিষ্ঠান হতে হবে। অর্থাৎ যে বছরে কোম্পানিটি আইপিও’তে আসার আবেদন করবে তার আগের অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা লাভজনক অবস্থায় থাকতে হবে।

তাছাড়া কোন কোম্পানি লোকসান অবস্থায় পুঁজিবাজারে গেলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারাবে। এ অবস্থায় কোম্পানি কিছু টাকা পেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিনিয়োগকারীরা। যা অনুমোদনযোগ্য নয়। আমরা ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করে পুঁজিবাজারে যাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে ক্যাপিটাল বাড়ানোর উপকার আছে, এটা কোম্পানির জন্যই ভালো।

এ বিষয়ে সেনাকল্যাণ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শফিক শামিম বলেন, সরকারি নির্দেশ পাওয়ার পর ২৪ অক্টোবর আমরা ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছি। আমাদের সব কাগজপত্র দেয়া হয়েছে, তারা কাজ করছে। আমরা আশা করছি ২০২০ সালের মার্চের মধ্যেই আমরা শেয়ার মার্কেটে প্রবেশ করতে পারব।

তিনি আরো বলেন, প্রথমে আমরা উদ্যোক্তার অংশ ২৪ কোটি টাকা হিসেবে আবেদন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু এসইসি আমাদের জানিয়েছে আরো ২১ কোটি টাকা বাড়াতে হবে। এর জন্য যে নিয়মকানুন ছিল সেটা সম্পন্ন করে আমরা ওই কাগজপত্রও দিয়েছি। মূলত দুই জায়গার দুই আইনের কারণে সময় লাগছে। দেরি হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দিক থেকে কোন কারণ নেই।

হোমল্যান্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম তালুকদার বলেন, পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির কাজ আমাদের ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। শেয়ারবাজারের জটিলতার কারণে কিছুটা সময় লাগছে। আইডিআরএ’র সঙ্গে এ ব্যাপারে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি। আশাকরি আমরা দ্রুতই পুঁজিবাজারে আসতে পারব।

মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল বলেন, পুজিঁবাজারে তালিকাভুক্তির কাজ চলছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আমরা নিয়োগ দিয়েছি। এবছরের মধ্যে আমরা পুজিঁবাজারে আসতে পারব। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র সাথে পুজিঁবাজারে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আমাদের যোগাযোগ হচ্ছে।

জেনিথ ইসলমী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির সরকারি নির্দেশনা আসার আগেই ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি আমরা ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছি। অন্যান্য কার্যক্রমও প্রায় শেষ। তবে বিএসইসি’র সংশোধিত বিধানে বর্ণিত মূলধন কাঠামো থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ছাড়াও ডিসেম্বর ২০১৯ ক্লোজিং শেষে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য সময় প্রার্থনা করা হয়েছে।

গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম মনিরুল আলম বলেন, আমরা আগামী এপ্রিলের ভেতর পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করব। আমাদের প্লান আছে এপ্রিলের ২০/২২ তারিখে বিএসইসি’র কাছে আবেদনপত্র জমা দেব। এ বিষয়ে আমাদের বিশেষ কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। আবেদনপত্র জমা দেয়ার পর যত তাড়াতাড়ি অনুমোদন দেবে তত তাড়াতাড়ি আমরা পুঁজিবাজারে তালিকার্ভুক্ত হতে পারব।

ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মিয়া ফজলে করিম বলেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)’র কাছে আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য সমস্ত কাগজপত্র উত্থাপন করেছি। এখন শুধু আমরা বিএসইসি’র অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। অনুমোদন পেলে আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে পারব।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম সাইদুর রহমান বলেন, আমরা বিগত ২ বছর ধরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির চেষ্টা করছি। সমস্ত কাগজপত্র আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)’র কাছে দাখিল করেছি। এখন শুধু অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি। এ মাসের যেকোন দিন আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন পেতে পারি।

ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিপলু বিশ্বাস বলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সব কাগজপত্রও দেয়া হয়েছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)’র কাছে ৩ মাসের সময় চেয়ে নিয়েছি। এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আগামী এপ্রিলের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে কাগজপত্র দাখিল করা হবে। পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তি একটি প্রক্রিয়াধীন বিষয়। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে।

এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আবু মুসা সিদ্দিকী বলেন, আমরা ইস্যু ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছি। পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্তির ক্যাপিটাল আছে আমাদের। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে।

ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মখ্যূ নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাজিম উদ্দিন বলেন, বিএসইসি’র আগের বিধান অনুসারে আমাদের যোগ্যতা আছে। তবে নতুন বিধান অনুসারে আরো ২৪ কোটি টাকা প্রয়োজন। আইডিআরএ’র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আশা করছি এর সমাধান হয়ে যাবে। ডিসেম্বর ২০১৯ এর ব্যালান্স দিয়ে আমরা পুঁজিবাজারে যেতে চাচ্ছি। সেক্ষেত্রে মার্চ পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। প্রাইম ফাইন্যান্স বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।

সিকদার ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) বদিউল আলম জানান, পুঁজিবাজারে আসার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। ডিসেম্বর ২০১৯ এর হিসাব দিয়ে আমরা বিএসইসিতে আবেদন করতে চাচ্ছি। সেক্ষেত্রে কিছুটা সময় লাগবে। কোম্পানি সারপ্লাসে আছে, পেইডআপ ক্যাপিটালেও সমস্যা নেই।

তবে আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) মো. সালা-উদ্দিন এ বিষয়ে কোন বক্তব্য দিতে রাজি হননি। এ ছাড়াও পুঁজিবাজারে অতালিকাভুক্ত অন্যান্য কোম্পানির মূখ্য নির্বাহীদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া সম্ভব হয়নি।