অর্থমন্ত্রীর আশ্বাসের প্রতিফলন নেই বাজেটে, হতাশ বিআইএ

ডেস্ক রিপোর্ট: বীমা কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন ফি তুলে দেয়াসহ অর্থমন্ত্রীর বিভিন্ন আশ্বাসের প্রতিফলন ঘটেনি ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের বাজেটে। অর্থমন্ত্রণালয় ও রাজস্ব বোর্ডে বারবার লিখিত আবেদন জানিয়েও কমেনি বীমাখাতের বিভিন্ন ভ্যাট, ট্যাক্স ও ফি'র পরিমাণ। এ কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন বীমা ব্যবসায়ীরা। বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বীমাকারিদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ) এ হতাশা ব্যক্ত করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, গত ২ জুন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। সামগ্রিকভাবে এ বাজেটে বীমাখাতের উন্নয়নে কোন দিক নিদের্শনা না থাকায় বীমা কোম্পানিগুলো হতাশ।

বিআইএ'র প্রতিনিধি দল অর্থমন্ত্রী ও এনবিআর'র নিকট বারবার লিখিতভাবে আবেদন করেছে এবং বাজেট ঘোষণার পূর্বেও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বীমা গ্রহীতার বীমা মেয়াদ শেষে বোনাসের ওপর ৫% গেইন ট্যাক্স, এজেন্ট কমিশনের ওপর ১৫% ভ্যাট, লাইসেন্স নবায়ন ফি'র ওপর ১৫% ভ্যাট, এজেন্ট কমিশনের ওপর ৫% উৎস কর রহিত করণ, বীমা কোম্পানির করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করণ ইত্যাদি বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আবেদন করা হয়েছে।

বীমা ব্যবসার লাইসেন্স নবায়ন এবং নবায়ন ফি রহিতকরণ, স্বাস্থ্য বীমাকে করমুক্ত করণ, করপোরেট ট্যাক্স হ্রাস করণের জন্য অর্থমন্ত্রী মৌখিকভাবে আশ্বাস দিলেও সেগুলোর বিষয়ে বাজেটে কোন প্রতিফলন ঘটেনি।

বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের বীমাখাতের আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কারের অংশ হিসেবে বীমা করপোরেশন গঠনের কাজ চলমান রয়েছে। এ উদ্যোগের জন্য অর্থমন্ত্রীকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিআইএ। তবে আইন সংস্কার করে ট্যাক্স হ্রাস না করে বীমাখাতের কোন উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে বিআইএ মনে করে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি আরো জানায়, বাজেট নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হবে এবং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে, প্রস্তাবিত বাজেটে কোন ধরণের সমস্যা থাকলে জাতীয় সংসদে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হবে। কাজেই বিআইএ মনে করে, বীমা শিল্পের উন্নয়ন ও প্রসারে অর্থমন্ত্রী সদয় দৃষ্টি দেবেন এবং এ খাতকে জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার সুযোগ প্রদানে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন।