৫০ ‍ও ১০০ টাকার পলিসি বিক্রি ছেড়ে দিয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ

আবদুর রহমান:

৫০ ও ১০০ টাকা কিস্তির পলিসি বিক্রি ছেড়ে দিয়েছে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এতে পলিসি বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ব্যবসার কৌশল পরিবর্তনের কারণে পলিসি বিক্রির পরিমাণ কম হয়েছে। তবে এতে প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ কমেনি।

পলিসি বিক্রি কমে যাওয়া সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি'কে এ তথ্য জানান কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শাহ আলম। কোম্পানির ব্যবসার কৌশল পরিবর্তনে ব্যবস্থাপনা ব্যয়ও কমেছে বলে জানান তিনি।

প্রাইম ইসলামী লাইফের এই মূখ্য নির্বাহী আরও জানান, ব্যবসার এ নতুন কৌশলে ক্ষুদ্রবীমার ৫০ ও ১০০ টাকা কিস্তির পলিসি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে ৫০০ টাকা কিস্তির নিচে কোন পলিসি বিক্রি করা হচ্ছে না।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) দাখিল করা কোম্পানিটির তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৩ বছরে নতুন পলিসি বিক্রি গড়ে কমেছে ২১ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নতুন পলিসি ইস্যূ বেড়েছে ২১ শতাংশ।

তথ্য অনুসারে, প্রাইম ইসলামী লাইফ ২০১০ সালে নতুন পলিসি ইস্যু করে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৭টি। যা ২০১১ সালে ১৭ শতাংশ কমে ৯৪ হাজার ৯৬৩টি, ২০১২ সালে ২৬ শতাংশ কমে ৬৯ হাজার ৯৭১টি, ২০১৩ সালে ২১ শতাংশ কমে ৫৫ হাজার ৬৮টিতে দাঁড়ায়।

২০১৪ সালে নতুন পলিসি ইস্যু ১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬১ হাজার ৮৩৮টিতে। ২০১৫ সালে ২৪ শতাংশ বেড়ে পলিসি সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৬ হাজার ৪৩৫টি। ২০১৬ সালে এসে ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৯৫ হাজার ৯৬৮টিতে।

তবে ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে এসে নতুন পলিসি ইস্যু কমে যায় ২০ শতাংশ।

নতুন পলিসি ইস্যু সবচেয়ে বেশি কমে যায় ২০১৩ সালে। যা ২০১০ সালের তুলনায় ১০৯ শতাংশ কম। অর্থাৎ ওই বছর অর্ধেকের নিচে নেমে আসে প্রাইম ইসলামী লাইফের নতুন পলিসি বিক্রি।

মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ক্ষুদ্রবীমা পোষায় না। ৫০/১০০ টাকার পলিসি ছিল। ক্ষুদ্রবীমার রিনুয়াল কালেকশন হয় না। যাকেই কালেকশন করতে বলি সে ৫০ টাকা কালেকশন করে পায় ২.৫০ টাকা, ৫% হিসেবে। তার গাড়ি ভাড়া-ই হয় না। ক্ষুদ্রবীমার গ্রাহকরা অফিসে এসে টাকা জমা দিয়ে যায় না। বাড়ি বাড়ি গিয়ে কালেকশন করতে হয়।

ভায়াবল না, সেই জন্য সবাই এটা বাদ দিয়েছে। আমরা রাখছি, ৫০০ টাকা মিনিমাম। আমরা বন্ধ করি নাই। এমাউন্ট বাড়াইছি। সেই জন্য পলিসির সংখ্যা কমতে পারে। অন্য কোন কারণ নাই। আমাদের ব্যবসা তো বাড়ছে। ২০১০ সালে কত ব্যবসা ছিল এখন দেখেন কত ব্যবসা হয়েছে। পলিসির কোয়ালিটি বাড়ছে। কোয়ালিটি সম্পন্ন পলিসিহোল্ডার আসছে।