যশোরে ৩৩৭৪ গ্রাহকের ৬ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করলো পপুলার লাইফ

যশোর থেকে মোস্তাফিজুর রহমান টুংকু: : যশোরে ৩ হাজার ৩৭৪ জন বীমা গ্রাহকের মাঝে ৬ কোটি ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৬৫ টাকার দাবি পরিশোধ করেছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আজ বুধবার বিকালে যশোর জিলা স্কুল মিলনায়তনে গ্রাহকদের দাবির চেক হস্তান্তর করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এর সদস্য গকুল চাঁদ দাস, বিশেষ অতিথি ছিলেন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী বিএম ইউসুফ আলী।

চেক হস্তান্তরে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গকুল চাঁদ দাস বলেন, বীমার উন্নয়ন ছাড়া কেনো দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এ লক্ষ্য সফল করতে বীমার উন্নয়ন করতে হবে।

আমাদের দেশে জিডিপিতে বীমার অবদান খুব কম। তাই আমাদের জিডিপিতে বীমার অবদান বাড়াতে হবে। বীমা মানুষ ও সম্পদের ঝুঁকি গ্রহণ করে। তাই কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বীমা বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, আজ আমি যশোরে এসেছি। আমার এখানে শেষকৃত্য হবে কিনা তা আমি জানি না। কিন্তু যে কোনো দুর্ঘটনাই ঘটুকনা কেনো তাতে আমার পরিবার আর্থিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়বে। আর এই আর্থিক ক্ষতি হাত থেকে একটি পরিবার রক্ষা করার দায়িত্ব নেয় বীমা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খলিল আহমদ বলেন, আমাদের সবাইকে বীমার প্রতি সচেতন হতে হবে। আমরা বীমাখাতের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছি। এ দায়িত্ব পালনে আমরা সফল হবো, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আজকের এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা দেখতে চাই যশোরের প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতি ব্যক্তি বীমার গ্রাহক হবেন।

সভাপতির বক্তব্যে বিএম ইউসুফ আলী বলেন, দেশের মানুষকে বীমা সম্পর্কে সচেতন করতেই এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ সময়ে তিনি অন্যান্য কোম্পানিকেও এ ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করার আহবান জানান।

ইউসুফ আলী বলেন, এ আয়োজনের জন্য গ্রাহকদেন চেক দীর্ঘদিন আটকে রাখিনি। আমরা সময় মতোই গ্রাহকদের কাছে দাবি চেক হস্তান্তর করছি। তিনি বলেন, আমরা চলতি মাসে আরো দশ হাজার চেক বিতরণ করবো।

বীমা দাবি পরিশোধে পপুলার লাইফ সবসময় সচেতন উল্লেখ করে তিনি বলেন, পপুলার লাইফের দাবি বিভাগ বন্ধের দিনেও খোলা থাকে। দাবি পরিশোধে পরিচালিত হয় সার্বক্ষণিক কার্যক্রম।

তিনি বলেন, আমরা এ যাবৎ ২৪ লাখ গ্রাহকের ২ হাজার ৪শ' ৯৩ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করেছি। এর মধ্যে ১১০ কোটি টাকার মৃত্যদাবি, ১ হাজার ৮শ' কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ দাবি ও ৪ কোটি টাকার অন্তর্বর্তীকালিন বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে।