সর্বোচ্চ ১ লাখ ডলার বীমা দাবি পাবেন ক্ষতিগ্রস্ত বিমান যাত্রীরা

মোস্তাফিজুর রহমান টুংকু: নেপাল বিমান দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা বা তাদের পরিবার সর্বোচ্চ ১ লাখ ডলার বীমা দাবি পাবেন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এর টিকেটের শর্তে ওয়ারসো কনভেনশন নীতিমালার সর্বশেষ সংশোধন অনুসারে এ সুবিধা পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

ওয়ারস কনভেনশনের সর্বশেষ সংশোধনী অনুসারে, একজন বিমান যাত্রীর মৃত্যু অথবা ব্যক্তিগত আঘাতের ক্ষেত্রে ১ লাখ ইউএস ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন। ওয়ারস কনভেনশনের প্রথম সংশোধনী করা হয় ১৯৫৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হেগ প্রটোকলে। সর্বশেষ ১৯৭১ সালের ৮ মার্চ গুয়েতেমালা সিটি প্রোটকলে সংশোধনীতেও যাত্রীদের জন্য এ সুবিধা বহাল রাখা হয়।

বীমা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ওয়ারসো কনভেনশনের সর্বশেষ সংশোধনী অনুসারে যাত্রীরা বীমা সুবিধা পাবেন। তবে বিমানের টিকিটে পৃথক কোনো শর্ত দেয়া থাকলে সেই শর্তই কার্যকরী হবে ক্ষতগ্রিস্ত যাত্রীদের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে।

ইউএস বাংলার ওয়েবসাইটে দেয়া টিকিটের টার্ম ও কন্ডিশনে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে ১৯২৯ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ওয়ারসো কনভেনশন অথবা ১৯৫৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হেগে ওই কনভেশনটির যে সংশোধন আনা হয়-এর যেকোনটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ টিকিটে উল্লেখিত টার্ম ও কন্ডিশনে পৃথক কোনো শর্ত দেয়া হয়নি।

এ বিষয়ে একাধিক বীমা বিশ্লেষকের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীদের মধ্যে নিহত, আহত বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা আন্তর্জাতিক এ আইনের আওতায় ক্ষতিপূরণ পাবেন। ব্যক্তির আর্থিক ও সামাজিক মর্যাদা, বয়স, পরিবার ও ক্ষতির পারিপার্শিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে থাকে।  

ফলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারিত হয়ে থাকে আদালতের মাধ্যমে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা তার পরিবার তাদের যৌক্তিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হতে পারেন। 

উল্লেখ্য, বেসরকারি আইন একীভূতকরণে অনুষ্ঠিত সফল কনভেনশনগুলোর একটি ওয়ারসো কনভেনশন। সেখানে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বিশ্বের ৯৯টি দেশে কার্যকর। এমনকি বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলেও এসব বিধি মেনে চলে সরকার।

১৯২৯ সালের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ওয়ারসো কনভেনশন এবং ১৯৫৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর হেগে অনুষ্ঠিত কনভেশনটি বাংলাদেশ মেনে চলার ঘোষণা করে স্বাধীনতার পর ১৯৭৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি।