নবায়ন প্রিমিয়াম সংগ্রহে ইনসেনটিভ দিতে হবে : ইউসুফ আলী

বাংলাদেশের ক্ষুদ্রবীমার সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে বিশেষ আয়োজন করেছে দেশের প্রথম এবং একমাত্র বীমা ভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি। বিশেষ আয়োজনের এ পর্বে ক্ষুদ্রবীমার ওপর অভিমত দিয়েছেন পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড এর মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিএম ইউসুফ আলী। ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র পাঠকদের জন্য অভিমতটি তুলে ধরা হলো:

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বিএম ইউসুফ আলী বলেন, ক্ষুদ্র বীমার গ্রাহকরা টাকা ফেরত পাচ্ছে না- এই কথাটি শুধু ক্ষুদ্রবীমার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। যেসব কোম্পানি মেয়াদ শেষে টাকা দিচ্ছে না তারা ক্ষুদ্রবীমা, এককবীমা সব ক্ষেত্রেই টাকা দিচ্ছে না। ক্ষুদ্রবীমা যখন প্রচলন করা হয় তখন এ বিষয়ে কোনো আইন ছিল না। বরং এখনই ক্ষুদ্রবীমার আইন হয়েছে। সামাজিক নিরপত্তার অংশ হিসেবে এখন প্রতিটি কোম্পানিকেই ক্ষুদ্রবীমার পলিসি বিক্রি করা বাধ্যতামুলক। তাই খরচ বেশি হবে বলে ক্ষুদ্রবীমা বন্ধ করে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ইউসুফ আলী বলেন, ক্ষুদ্রবীমার সবচেয়ে বড় সমস্য হলো নতুন যে কমিশন সিডিউল করা হয়েছে তাতে ক্ষুদ্রবীমায় কমিশন খুব কম। তাই মাঠকর্মীরা প্রথম বছর প্রিমিয়াম সংগ্রহে আগ্রহ দেখালেও পরবর্তী বছরগুলোতে তাদের কোনো আগ্রহ থাকে না। ফলে প্রিমিয়াম সংগ্রহে তারা আর গ্রাহকদের কাছে যায় না। এমন অবস্থায় প্রিমিয়াম কালেকশন করতে প্রতিটি গ্রাহকের কাছে যাতে মাঠকর্মীরা যায় এমন ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে মাঠকর্মীদের স্পেশাল ইনসেনটিভ দেয়া যেতে পারে। প্রয়োজনে অন্য খাতে খরচ কমিয়ে ক্ষুদ্রবীমায় তা খরচ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসার অবস্থার বিবেচনা করেই অফিস নেয়া উচিত। ব্যবসা নেই অথচ যেখানে সেখানে অফিস নেয়া হয়েছে। এতে কোম্পানির খরচ বাড়ে। ফলে গ্রাহকদের মুনাফা দেয়া যায় না।

পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের এই মূখ্য নির্বাহী আরো বলেন, সহজ ও নিশ্চিতভাবে কীভাবে প্রিমিয়াম কালেকশন করা যায় তা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যেই একটি সফটওয়ার কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এর মাধ্যমে গ্রাহক নিজেই প্রিমিয়াম জমা করতে পারবে। আমরা মনে করছি এটা খুব কাজ দিবে।

বিএম ইউসুফ আলী বলেন, প্রিমিয়াম কালেকশনে আরেকটি উপায় হতে পারে- প্রতি সপ্তাহে বা মাসে প্রিমিয়াম না নিয়ে কয়েকমাসের প্রিমিয়াম একবারে নেয়া। এতে কিস্তি বাকি থাকার আশঙ্কা থাকে না। অন্যদিকে খরচ কমে যায়।

ক্ষুদ্রবীমার গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছে না এটা সব কোম্পানির ক্ষেত্রে ঠিক নয় বলেও দাবি করেন ইউসুফ আলী। তিনি বলেন, এ বছরেও আমরা প্রায় ৬০০ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করবো। গত বছরে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার দাবি পরিশোধ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

প্রকাশের তারিখ- ১৯ এপ্রিল, ২০১৬