আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেশাগত এসিআইআই ডিগ্রি মূল্যায়ন প্রসঙ্গে

কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পেশাগত এসিআইআই ডিগ্রি মূল্যায়নের বিষয়ে বীমা কোম্পানিগুলোকে পাঠানো বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চিঠির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

২০১৯ সালের ১৬ মে দেশের সকল লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। যার স্মারক নং- ৫৩.০৩.০০০০.০১৭.১৬.০০৩.১৯.১৩১। এর আগে ১৬ এপ্রিল, ২০১৯ এ বিষয়ে একটি চিঠি নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে পাঠায় বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স একাডেমি।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ওই চিঠিতে বীমা শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থে দক্ষ জনশক্তি গড়ার প্রয়োজনে এসিআইআই ডিগ্রিধারীদের বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের ব্যাপারে বীমা কোম্পানিগুলোকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হয়।

জানামতে, প্রায় দেড় বছর অতিক্রান্ত হলেও এ ব্যাপারে অধিকাংশ বীমা কোম্পানি কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।

বীমা শিল্প আর্থিক খাতের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বীমাখাতের উন্নয়নের নিমিত্তে পেশাগত বীমা ডিগ্রিধারীদের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

দৃষ্টান্তসরূপ- ম্যানেজার নিয়োগের বেলায় পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয় যেখানে এ পদের জন্য চাকরি প্রার্থীদের এসিআইআই ডিগ্রিসহ নূন্যতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের বীমাখাতে সর্বমোট ২৫ থেকে ৩০ জন এসিআইআই ডিগ্রিধারী রয়েছে। অথচ দুবাইয়ের মতো ছোট্ট একটি ইমারাতে এর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণের চেয়ে অধিক।

যে যত কথাই বলুক বীমাখাতকে প্রগতির পথে পরিচালিত করতে হলে দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই।

আশা করি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বীমাখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে এই ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে বীমাখাতে নিয়োজিত পেশাগত ডিগ্রিধারী যেমন- এসিআইআই, এআইআইআই, এবিআইএ ইত্যাদির মূল্যায়নে যথাযথ এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।