2586

07/03/2025

দান নয়, গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ জরুরি: এস এম নুরুজ্জামান

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বজুড়ে চলছে করোনা ভাইরাসের মহামারী। সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই প্রেক্ষিতে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান সাধারণ ছুটি বর্ধিত করেছে বাংলাদেশ সরকার। নির্দেশনা অনুসারে বন্ধ রয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান। বীমাখাতেও এই ছুটি কার্যকর করা হয়েছে।

এ অবস্থায় বীমা গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করা খুবই জরুরি বলে মনে করছেন জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান। ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে তিনি বলেন, দেশের পুরনো লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো প্রতি মাসে গড়ে সহস্রাধিক বিভিন্ন বীমা দাবি পরিশোধ করে। নতুনগুলোতেও হয় শতাধিক। বকেয়া বীমা দাবিও রয়েছে অনেক।

তিনি বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে বীমা গ্রাহকদের এসব পাওনা পরিশোধ করা হলে তাদের আর দান গ্রহণের প্রয়োজন হবে না। বীমা কোম্পানিগুলো তাদের গ্রাহকদের পাওনা পরিশোধ করলে সরকারের ওপরও চাপ কমে আসবে। এ ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ এবং কমিশন ভিত্তিক কর্মীদের অগ্রিম অর্থ প্রদান করা যেতে পারে।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত তথ্য মতে বেশ কয়েকটি লাইফ বীমা কোম্পানি তাদের বিভিন্ন বীমা দাবি যেমন- মৃত্যুদাবি, সার্ভাইভাল বেনিফিট, সমর্পণ, ম্যাচুরিটি ও লোনের টাকা নির্দিষ্ট সময়ের পরও পরিশোধ করতে দেরি করে। জরুরি ভিত্তিতে এসব কোম্পানির আটকে থাকা বীমা দাবিগুলো পরিশোধ করা প্রয়োজন।

জেনিথ ইসলামী লাইফের এই মূখ্য নির্বাহী বলেন, বীমা কোম্পানিগুলো দু’টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারকে অনুদান বা সাহায্য করে থাকে। প্রতিষ্ঠান দু’টি হলো- বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ) । তিনি বলেন, এখন সরকারের উচিত কমিশন ভিত্তিক বীমাকর্মী ও কর্মকর্তাদেরকে প্রণোদনা বা সাহায্য প্রদান করা।

এস এম নুরুজ্জামান বলেন, যারা গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করতে মাস পেরিয়ে বছরও শেষ করছেন তারা এই সময়ে চুপ কেন! গ্রাহকের অল্প অল্প করে জমানো এসব টাকা এখন পরিশোধ করা সময়ে দাবি। সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মীদের প্রতিদিনের ফোন, এসএমএস-এ তাদের মানসিক অবস্থা বোঝা যায়। দেশের এই পরিস্থিতি তাদের পাওনা পরিশোধ করা জরুরি। এসব বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের ভূমিকা দৃষ্টান্ত হতে পারে।