2674

03/29/2024

কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়

প্রকাশ: ৭ জুন ২০২০

মোনূর-উল-আলমএসিএস: বর্তমানে সর্বোচ্চ গতানুগতিক শিক্ষাও চাকুরীর বাজারে প্রবেশের নিশ্চয়তা দিতে পারছে না । প্রয়োজন বিশেষ কোন দক্ষতা অর্জন । দক্ষতা নির্ভর কাজ গুলো তৈরী করছে বিশেষ বিশেষ পেশা । তাই , গতানুগতিক সাধারণ শিক্ষার তুলনায় এখানে ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী বিষয়গুলোর চাহিদা বরাবরই বেশি । এ ক্ষেত্রে পেশাগত ডিগ্রি বা যোগ্যতা যেন সোনায় সোহাগা।

অতএব, ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কোন পেশাগত ডিগ্রি বা যোগ্যতা অর্জন করাই সকল তরুনদের ভ্রত হওয়া উচিত । কেননা , কোনো সাধারণ বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েও যেখানে চাকরির জন্য প্রতিযোগিতায় হিমশিম খেতে হয়, সেখানে ব্যতিক্রমধর্মী প্রফেশনাল ডিগ্রি থাকলে অনায়াসে সম্মানজনক চাকরি পাওয়া সম্ভব। বেকার হলে তো কথাই নেই, তবে যারা চাকরিজীবী, তারাও এসব বিষয়ে প্রফেশনাল দক্ষতা অর্জনের ব্যাপারে মনোযোগী হতে পারেন। কোম্পানি সচিব বর্তমান প্রেক্ষাপটে  এমনই একটি চ্যালেঞ্জিং প্রফেশন।

বিশ্বায়নের এ যুগে  উন্নত দেশগুলোতে ইতোমধ্যেই  কোম্পানি সচিব বা কোম্পানি সেক্রেটারি তথা কর্পোরেট সেক্রেটারী একটি মর্যদাশীল পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত । উপরন্তু, সব দেশে কোম্পানি সুশাসন আজ একটি বহুল আলোচিত বিষয়। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠার সাথে কাজ করছে চার্টার্ড সেক্রেটারি প্রফেশন। এ কারণে আজ সারা বিশ্বে চার্টার্ড সেক্রেটারি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা হিসেবে পরিচিত। তাছাড়া কোম্পানিকে লাভজনক ও যথাযথভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন। এজন্য এ পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিকে আইনি পরিপালন  (compliance) হিসাব ও ব্যবসা প্রশাসন সংক্রান্ত বিষয়ে হতে হয় দক্ষ, অভিজ্ঞ ও কৌশলী।

বাংলাদেশেও বর্তমানে এটি একটি মর্যদাশীল পেশায় পরিনত হয়ছে ।কেননা ,বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কোম্পানি, ব্যাংক, বিমা ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানে কোম্পানি সেক্রেটারি এবং চীফ  কম্প্লায়েন্স অফিসার পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব পদের জন্য উপযুক্ত প্রার্থীর অভাব কোম্পানি সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে অন্তরায়। তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের চার্টার্ড সেক্রেটারিজ আইন, ২০১০ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (আইসিএসবি) এ পেশার উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

যদি ব্যবসায়িক আইন ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনায়  আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি একজন কোম্পানি সচিব  হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। একজন কোম্পানি সচিব মূলত যেকোন পাবলিক অথবা প্রাইভেট কোম্পানির সর্বোচ্চ সিনিয়র পদের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে কোন কোম্পানির শেয়ার হোল্ডারদের পক্ষে কোম্পানির বোর্ড অব ডিরেক্টর্স তথা পরিচালনা পর্ষদ কোম্পানিটি পরিচালনা করেন । কোম্পানি সচিব উক্ত পরিচালনা পর্ষদ এবং কোম্পানির টপ মেনেজেন্টের মাঝে প্রধান সমন্বয়কের কাজ করেন । কোম্পানি সচিব পরিচালনা পর্ষদ সভায় ,সভা সঞ্চালনে কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ডিরেক্টরদের সহযোগীতা করেন এবং সভার কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করেন। এক কথায় কোম্পানি সচিব পরিচালনা পর্ষদের চোখ,মুখ এবং হাতের কাজ করেন ।শুনতে অবাক হতে পারেন এই জেনে যে , অন্যান্য চাকুরীতে ৩০ বছর বয়স হলো উক্ত চাকুরীতে প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ,কিন্তু কোম্পানি সচিব পেশার জন্য  ৩০ বছর বয়স হলো উক্ত চাকুরীতে প্রবেশের সর্ব নিম্ন বয়স সীমা ।   

এ পেশায় আগ্রহী হলে আপনি প্রথমে কোনো একটি রেজিস্টার্ড কোম্পানিতে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন । কাজকে অভিজ্ঞতা  অর্জনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পাবলিক সেক্টরের কাজের দিকে অর্থাৎ লোকাল অথোরিটি, চ্যারিটি, ইউনিভার্সিটি অথবা বিভিন্ন হসপিটাল ট্রাস্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন । সিনিয়র লেভেলে একজন কোম্পানি সচিব তার কাজের পাশা-পাশি চিফ অপারেটিং অফিসার  অথবা প্রধান মানব-সম্পদ ব্যবস্থাপক অথবা  প্রধান প্রশাসক অথবা প্রধান কম্প্লায়েন্স অফিসার অথবা ক্ষেত্র বিশেষে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বও পালন করে থাকেন । কোম্পানির অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, অর্থনৈতিক ও রেগুলেটরি রিকোয়ারমেন্ট সম্পর্কে বোর্ড অফ ডিরেক্টরের মূল পদের কাজ করে থাকেন তিনি। চলুন জেনে আসি, কীভাবে একজন কোম্পানির সেক্রেটারি হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

 

একজন কোম্পানি সেক্রেটারি কী কী কাজ করে থাকেন?

কোম্পানি বা অরগানাইজেশনভেদে একজন কোম্পানি সেক্রেটারির কাজ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যদিও বেশিরভাগ অরগানাইজেশন বা কোম্পানিতে, একজন কোম্পানি সেক্রেটারিকে যেসব কাজ করতে হয়, সেগুলো হচ্ছে,

  • কোম্পানি আইনের সাথে সবসময় আপ টু ডেট থাকা।
  • বাৎসরিক কোম্পানি রিপোর্ট তৈরি করা।
  • বিভিন্ন কোম্পানি মিটিং সংঘটিত করা।
  • বাৎসরিক জেনারেল মিটিং ও বোর্ড মিটিংয়ের ব্যবস্থা করা ও সুশৃঙ্খলভাবে তা সম্পন্ন করার দিকে খেয়াল রাখা।
  • বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের কাজের দিকে মনোযোগ দেয়া।
  • শেয়ারহোল্ডারদের ও স্টেকহোল্ডারদের দিকে খেয়াল রাখা।
  • কোম্পানি হাউস ও স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির শেয়ারের দিকে খেয়াল রাখা।
  • বিভিন্ন আইনি সমস্যার দেখাশোনা করা ও সেগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য আইনজীবীদের সাথে মিটিং করা।
  • অডিটর ও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কাজের অগ্রগতির দিকে খেয়াল রাখা।
  • শেয়ার অপশন ও পে-স্কেল মেইনটেনেন্সের দিকে নজর দেয়া।
  • লিগ্যাল রেসপন্সিবিলিটি, টার্মস এন্ড কন্ডিশনস এবং লিগ্যাল প্রসিডিউর সম্পর্কে ডিরেক্টর ও বোর্ড মেম্বারদের অবগত করা।
  • স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, প্রোপার্টি এবং জেনারেল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করা।

 

একজন কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে, আপনাকে যেসকল বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে সেগুলো হচ্ছে-

  • কর্পোরেট গভর্ন্যান্স, এমপ্লয়ি শেয়ার, চ্যারিটি ম্যানেজমেন্ট, কোম্পানির আইন ও প্রসিডিউর সম্পর্কে জানতে হবে।
  • অসাধারণ যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।
  • নেগোসিয়েশনের দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটি করার ধৈর্য ও দক্ষতা থাকতে হবে।
  • যেকোনো সমস্যার সমাধান করার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • মিতব্যয়ী হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • বিভিন্ন অরগানাইজেশনের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • ব্যবসা ও অর্থনীতির আইন সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে।
  • কাজের প্রতি যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শনের মনোভাব থাকতে হবে।
  • র‍্যাশিওনাল জাজমেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে।
  • ডেডলাইনের পূর্বেই কাজ সম্পন্ন করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • ব্যবসায়ের মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেলস অফ অ্যাসোসিয়েশন সম্পর্কে জানতে হবে।
  • পরিসংখ্যান ও রেজিস্টার সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা থাকতে হবে।
  • অ্যাকাউন্ট রিপোর্ট ও শেয়ার রেজিস্ট্রেশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • ব্যবসা ও ম্যানেজমেন্টে পারদর্শী হতে হবে।
  • ব্যবসায়িক মনোভাবে কাজ করার পারদর্শীতা থাকতে হবে।
  • দলগতভাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
  • কর্পোরেট ইস্যু ও কোম্পানির কনফিডেন্সিয়াল তথ্যের যথাযথ দেখাশোনা করার দক্ষতা থাকতে হবে।

 

একজন কোম্পানি সেক্রেটারির কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে?

কোম্পানি  সচিব  হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে  আপনাকে ইংরেজীতে অত্যন্ত দক্ষ হতে হবে ।একাডেমিক ডিগ্রী হিসেবে ব্যবসায় প্রশাসন , আইন, অর্থনীতি, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, ফাইন্যান্স অথবা গণিতের উপর  স্নাতক  অথবা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ধারীরা এ পেশায় ভালো করে থাকেন ।পৃথিবীতে অনেক দেশে কোম্পানি  সচিব  হিসেবে  তালিকাভূক্ত কোম্পানীতে ক্যারিয়ার  গড়তে চাইলে  ‘চার্টার্ড সেক্রেটারি’ ডিগ্রী অর্জন করতে হয় ।

একজন কোম্পানি সেক্রেটারির কী ধরনের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?

এন্ট্রি লেভেলের একজন কোম্পানি সেক্রেটারি হিসেবে যেকোন কোম্পানিতে যোগদান করার পূর্বে, আপনাকে কম্পিউটার চালনা এবং ইংরেজীতে ভালো দক্ষতার পাশা পাশি অডিট , ফাইন্যান্স, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা, গণিত অথবা রিপোর্ট অ্যানালাইসিসের উপর কমপক্ষে ২ থেকে ৫ বছরের অভিজ্ঞতা  থাকলে ভালো হয়।যদিও  প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানিভেদে এই অভিজ্ঞতার মাপকাঠিতে পরিবর্তন আসতে পারে।

একজন কোম্পানি সেক্রেটারির বেতন কেমন হতে পারে?

এন্ট্রি লেভেলের একজন কোম্পানি সেক্রেটারির বাৎসরিক বেতন  ৭ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।  কোম্পানি সচিবের পাশা পাশি অন্যান্য দায়ীত্ব পালন করলে কাজের ধরণ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেতনের ব্যাপক তারতম্য দেখা যায়।  

কিভাবে ‘চার্টার্ড সেক্রেটারি’ ডিগ্রী অর্জন করব ?  

ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশ (ICSB) বিগত দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে এ বিষয়ে ডিগ্রী প্রদান করছে  । তাই চার্টার্ড সেক্রেটারি  একটি সুপরিচিত ও গ্রহনযোগ্য পেশাগত যোগ্যতা হিসেবে ইতোমধ্যেই কর্পোরেট হাউস গুলোতে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত । বর্তমানে চাকরিরত এবং চাকরিপ্রার্থী উভয়ের জন্য এ প্রফেশনাল কোর্সটি সমান গুরুত্বপূর্ণ। চার্টার্ড সেক্রেটারিশীপ আপনাকে কর্মরত প্রতিষ্ঠানে বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে সম্মানজনক চাকরির সুযোগ করে দেবে। তা হতে পারে কোম্পানি সেক্রেটারি/ডেপুটি কোম্পানি সেক্রেটারি/এসিস্ট্যান্ট কোম্পানি সেক্রেটারি/কর্পোরেট ম্যানেজার বা এর সম মর্যাদাসম্পন্ন। একজন দক্ষ চার্টার্ড সেক্রেটারি উচ্চতর প্রারম্ভিক বেতনে চাকরির বাজারে প্রবেশ করতে সক্ষম।

 

চার্টার্ড সেক্রেটারি ডিগ্রী অর্জনের পূর্বশর্ত কী কী ?

ভর্তির যোগ্যতা: এ কোর্সটি করতে চাইলে আপনাকে বাণিজ্য শাখায় ন্যূনতম স্নাতক (বিকম/বিকম-অনার্স/ বিবিএ/এমবিএ) ডিগ্রি এবং কমপক্ষে ছয় পয়েন্টের অধিকারী হতে হবে।

ভর্তির সময়: বছরে ২ (দুই) বার যথাক্রমে ডিসেম্বর ও জুন মাসে ভর্তি হওয়া যায়। বছরে ২টি সেমিস্টার; যা জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর মেয়াদি।

শিক্ষা পদ্ধতি: কমার্স গ্রেজুয়েটদের জন্য ২ বছর ৬ মাস মেয়াদি কোর্সটি মোট ৫টি (পাঁচ) সেমিস্টারে বিভক্ত। প্রথম ৩টি (তিন) সেমিস্টারকে বলা হয় একজিকিউটিভ লেভেল এবং শেষ ২ (দুই) সেমিস্টারকে বলা হয় প্রফেশনাল। প্রতিটি সেমিস্টার ৬ (ছয়) মাসের। কিন্তু, নন-কমার্স গ্রেজুয়েট হলে তাদেরকে শুরুতেই ‘ফাউন্ডেশন লেভেল’ নামে অতিরিক্ত একটি সেমিস্টার পাশ করে নিজেদের দক্ষতার প্রমান দিতে হয় ।

কোর্সের বিষয়: কমার্স গ্রেজুয়েট হলে ৫টি লেভেলে মোট ১৮০০মার্কের পরীক্ষা দিতে হয় ।

এক্সিকিউটিভ লেভেল–I অর্থাৎ ১ম সেমিস্টারের বিষয়গুলো হল- HRM & Industrial Relations, General & Commercial Laws, Corporate Accounting।

এক্সিকিউটিভ লেভেল-II অর্থাৎ দ্বিতীয় সেমিস্টারের সাবজেক্ট: Corporate Communication and Report Writing, Direct & Indirect Tax Laws, Economic Laws & WTO।

এক্সিকিউটিভ লেভেল-III অর্থাৎ তৃতীয় সেমিস্টারের বিষয়গু: Company Law and Practice, Company Secretarial Practice, Information Technology & Management Accounting, Bankling, NBFI and Insurance Laws & Practice।

প্রফেশনাল সেমিস্টার-I&II: প্রফেশনাল ২ সেমিস্টার বা গ্রুপে ৪টি করে মোট ৮টি কোর্স। এ ৮টি বিষয় হচ্ছে – Advanced Company Law and Practice, Corporate Financial Management, Corporate Governance, Corporate Administration & Corporate Tax, Corporate Secretaryship, Strategic and Operations Management, Securities Laws & Capital Marke, Secretarial, Management and Systems Audit।

ইন্টার্নশিপ: আড়াই বছরের চার্টার্ড সেক্রেটারিশিপ কোর্স সম্পন্নকারীদের ৩ (তিন) মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ করতে হয়। এ ইন্টার্নশিপের ব্যাপারে ইনস্টিটিউট থেকে সার্বিক সহায়তা দেওয়া হয়।

শিক্ষক হিসাবে রয়েছেন:  বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বহুজাতিক কোম্পানির পরিচালক, সিনিয়র কোম্পানি সেক্রেটারি, সিনিয়র ম্যানেজার, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বিভিন্ন ইনস্টিটিউট বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষকগণ  ।

শিক্ষা ব্যয়: ভর্তির সময় রেজিষ্ট্রেশন, সেশন চার্জ, লাইব্রেরি কার্ড, কোচিং ফি সব মিলিয়ে ২০,৬৫০/= টাকা লাগবে। ভর্তির আবেদন পত্র ও স্টুডেন্টস হ্যান্ড বুকের মূল্য ১০০০.০০ টাকা। একজিকিউটিভ লেভেল পর্যায়ের ১০টি সাবজেক্টের জন্যে মোট ৯১,৪৫৫/- (একানব্বই হাজার চার শত পঞ্চান্ন টাকা) এবং প্রফেশনাল পর্যায়ে ৮টি সাবজেক্টের জন্যে মোট ৮০,২৫০/- (আশি হাজার দুই শত পঞ্চাশ টাকা)। বছরে ২ বার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, জানুয়ারি ও জুলাই মাসে।

কোচিং ক্লাস: ইনস্টিটিউটের নিজস্ব ক্লাস রুমে সান্ধ্যকালীন কোচিং ক্লাস সপ্তাহে ৩/৪ দিন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা ৬.৩০টা থেকে রাত ৯.৩০টা পর্যন্ত ক্লাস চলে। দিবা শাখায় সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার সকাল ৮.০০ থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত কোচিং অনুষ্ঠিত হয়।

বিস্তারিত তথ্যের জন্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারীজ অব বাংলাদেশ, ১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, পদ্মা লাইফ টাওয়ার (অষ্টম তলা), বাংলা মটর, ঢাকা-১০০০। ফোন- ৮৮০-২-৯৩৩ ৬৯০১, ৯৩৪ ৯৫৭৮/১০২ও ১০৫, মোবাইলঃ- ০১৭০৮ ০৩০৮০৪