2880

03/29/2024

স্বাস্থ্য বীমায় নতুন নীতিমালা চালু করছে ভারত

প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: স্বাস্থ্য বীমাখাতে নতুন নীতিমালা চালু করছে ভারত।চলতি বছরের ১ অক্টোবর থেকে এই নীতিমালা কার্যকর করা হচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্য বীমার পরিধি যেমন বাড়বে তেমনি বাড়তে পারে প্রিমিয়ামের হার। করোনা পরিস্থিতিকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন এই নীতিমালা কার্যকর করতে যাচ্ছে প্রতিবেশি দেশটি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো  জানিয়েছে,  নতুন নীতিমালা কার্যকর করা হলে মানসিক অসুস্থতাসহ বেশ কিছু স্থায়ী রোগ নতুন করে স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আসবে । এর ফলে আগে যেখানে ৩০ ধরণের রোগ স্বাস্থ্য বীমার আওতার বাইরে ছিল, এখন সেই সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১৭টিতে।  

এদিকে বীমা কাভারেজের আওতায় জটিল ও স্থায়ী রোগ নতুন করে যুক্ত করা হলে প্রিমিয়ামের হার বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন বীমা সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে কতিপয় স্বাস্থ্য বীমা পরিকল্পের প্রিমিয়াম ৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে।

নতুন এই নীতিমালা কার্যকর হলে মানসিক অসুস্থতা, বংশগত রোগ, মনস্তাত্বিক অসুস্থতা ইত্যাদির কভারেজ অন্তর্ভুক্ত হবে। এ ছাড়াও নিউরো ডিসঅর্ডার, ওরাল কেমোথেরাপি, রোবোটিক সার্জারি, স্টেম সেল থেরাপি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

পূর্ব থেকে বিদ্যমান রোগের ক্ষেত্রে শর্তাবলী: ৪৮ মাস আগে ডাক্তার দ্বারা চিহ্নিত যে কোনও অসুস্থতা পূর্ব-বিদ্যমান হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হবে। কাভারেজ শুরু করার ৩ মাস পরে যদি কোনও লক্ষণ বিকাশ করে তবে এটিও পূর্ব থেকে বিদ্যমান রোগ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে।

৮ বছরের পর কোনও দাবি প্রত্যাখ্যান করা হবে  না:  প্রিমিয়াম প্রদানের ৮ বছর পরে কোনও বীমা দাবি অস্বীকার করা হবে না। যদি গ্রাহক ৮ বছরের জন্য প্রিমিয়াম প্রদান করে থাকেন সেক্ষেত্রে বীমা পলিসির জন্য কোনও পুনর্মূল্যায়ন প্রযোজ্য হবে না ।

ফার্মাসি, ইমপ্লান্ট এবং ডায়াগনস্টিক চিকিৎসা ব্যয় হিসেবে যুক্ত হবে না, যার অর্থ সম্পূর্ণ দাবি পাওয়া যাবে। অনুপাতের কোনও হ্রাস হবে না। তবে মেডিকেল ব্যয় অন্তর্ভুক্তির কারণে বীমা দাবির পরিমাণ হ্রাস পেতে পারে।

বীমা দাবি প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সময়সীমা হবে ৩০ দিন। অন্যান্য কোম্পানির বীমা পরিকল্পে স্থানান্তরিত করার সময়, পুরানো অপেক্ষার সময়কাল অন্তর্ভুক্ত করা হবে।  (সূত্র: জি নিউজ)