2926

03/28/2024

বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন বন্ধে নীতিমালা সংশোধন করছে আইআরডিএআই

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২০

 

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমা বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সংশোধন করতে যাচ্ছে ভারত। বীমা গ্রাহকের সুরক্ষায় এই উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই। জনমত যাচাইয়ে এরইমধ্যে প্রস্তাবিত খসড়া বিধিমালা ‘ইন্স্যুরেন্স অ্যাডভার্টাইজমেন্টস এন্ড ডিসক্লোজার রেগুলেশন্স, ২০২০’প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

বীমাখাতের বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ন্ত্রণে ২০০০ সালে ভারতে ‘ইন্স্যুরেন্স অ্যাডভার্টাইজমেন্টস এন্ড ডিসক্লোজার রেগুলেশন্স, ২০০০’ জারি করা হয়। এরপর ২০১০ ও ২০১৫ সালে দু’টি ছোট্ট সংশোধনী আনা হয় এই বিধিমালায়। বিগত ২০ বছরে বিজ্ঞাপনে বিবর্তনী প্রবণতা এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমকে পরিবর্তিত করেছে, তাই বিদ্যমান বিধিবিধান পর্যালোচনা করা দরকার বলে জানিয়েছে আইআরডিএআই।

সংশোধিত খসড়ায়, ‘বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন’ পরিভাষাটির পরিধি বাড়ানো হয়েছে। এতে এমন বিষয়ও অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা চুক্তির শর্তাবলী, সীমাবদ্ধতা এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যতিক্রমগুলো প্রকাশ করতে ব্যর্থ বা প্রকাশে অপ্রতুল হয়। এ ছাড়াও গ্রাহকদের সুরক্ষার জন্য আইআরডিএআই বীমা কোম্পানিগুলোর এমন বিজ্ঞাপন প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করেছে যা কার্য সম্পাদনের যুক্তিসঙ্গত প্রত্যাশার অতিরিক্ত দাবি করে।

বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া (ইন্স্যুরেন্স অ্যাডভার্টাইজমেন্টস এন্ড ডিসক্লোজার) রেগুলেশন্স, ২০২০ এর খসড়ায় আরো বলেছে, অন্যায্য ও বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের তালিকায় সেগুলোও অন্তর্ভুক্ত থাকবে যা বীমা পণ্য হিসেবে সুস্পষ্টভাবে সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয় এবং পলিসির বিধানগুলোর সাথে মেলে না এমন সুবিধার বিবরণ দেয়।

মূলত প্রস্তাবিত বিধানের উদ্দেশ্য হলো- বীমা কোম্পানিগুলো, মধ্যস্থতাকারী বা বীমা মধ্যস্থতাকারীরা বিজ্ঞাপন দেয়ার সময় ন্যায্য, সৎ ও স্বচ্ছ চর্চা গ্রহণ করবে এবং জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করার প্রবণতা এড়িয়ে যাবে। প্রস্তাবিত বিধানের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো এটা নিশ্চিত করা যে, প্রচারের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক, সুষ্ঠু এবং সরল ভাষায় হবে, যাতে ওয়াকিবহাল সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সক্ষম করে।

বিভ্রান্তিমূলক বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে খুব শিগগিরই নতুন বিধিমালা কার্যকর করতে চাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই। এ লক্ষ্যে আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে খসড়া বিধিমালার বিষয়ে স্টেকহোল্ডার এবং জনগণের কাছ থেকে মতামত আহবান করেছে কর্তৃপক্ষ।