3088

07/04/2025

দুর্নীতি দমন ছাড়া বীমাখাতের সার্বিক উন্নয়ন অসম্ভব

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারী ২০২১

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: সকল প্রকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার প্রধানের ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা দুর্নীতিপরায়ণদের জন্য এক কঠোর হুশিয়ারি বার্তা বহন করে।

তারই ফলসরূপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত আছে। এরইমধ্যে বেশ কিছু দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে তাদের অনেকেরই জেল বা কারাবাসে ঠাঁই মিলেছে।

কিন্তু আশ্চার্যজনকভাবে জানামতে বীমাখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আজ অব্দি তেমন কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

এর দু’টি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে। যেমন-

১। বীমাখাত সকল প্রকার দুর্নীতির ঊর্ধ্বে।

অথবা

২। বীমাখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিরা এতটাই ক্ষমতাবান এবং প্রভাবশালী যে, তারা নিজেদেরকে আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে মনে করে।

সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বীমাখাতের কতিপয় উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির বিরুদ্ধে (যার মধ্যে- বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা রয়েছে) প্রমাণসহ সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

অথচ এই সমস্ত দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিবর্গ আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে দিব্যি সমাজের বুকে দোর্দন্ড প্রতাপে বুক ফুলিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে যেন দুর্নীতি করা তাদের জন্মগত অধিকার।

বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এসব দুর্নীতি এবং দুর্নীতিবাজদের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল থাকা সত্ত্বেও কি অজ্ঞাত কারণে এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে অপারগ বা ব্যর্থ তা জানার অধিকার সকলের রয়েছে।

প্রতিনিয়তই সভা সমিতি এবং সংবাদ মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং বীমা কর্তৃপক্ষের উচ্চ পদস্থ এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ বীমাখাতের উন্নয়নের কথা নিয়ে জোর গলায় ভাষণ দিয়ে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে তা নিছক প্রহসনে দাঁড়িয়েছে বললে হয়তো ভুল হবে না।

এখন স্বাভাবিকভাবে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যে, শক্তহাতে দুর্নীতি দমন ব্যতিরেকে বীমাখাতে কাঙ্খিত পরিবর্তন আনা কি সম্ভব?

কেবল বীমা কর্তৃপক্ষই এর সঠিক জবাব দিতে পারবে।