বীমার টাকার জন্য স্ত্রীর জীবন নিলো স্বামী

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: জীবন বীমার টাকা হাতিয়ে নেয়ার জন্য স্ত্রীকে হত্যা করেছেন ভারতের কাঁকসা থানার বাসিন্দা শশাঙ্ক বাগদি। সোমবার ভোরে স্ত্রী ঝুমাকে (২৮) শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তিনি।

পুলিশ জানায়, বাজারে অনেক টাকা ঋণ হয়েছিল শশাঙ্কর। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হচ্ছিলো। স্ত্রীর জীবন বীমার টাকা হাতিয়ে নিতেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত ঝুমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসীরা জানান, কাঁকসার সীলামপুরের বাসিন্দা শশাঙ্ক বাগদির সঙ্গে বছর দশেক আগে স্থানীয় ক্যানেল পাড়ের বাসিন্দা ঝুমার বিয়ে হয়। তাঁদের একটি তিন বছরের মেয়ে ও একটি সাত বছরের ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে ঝুমাকে নিয়ে শেরপুরে ভাড়া বাড়িতে থাকত শশাঙ্ক। ঝিনুকগড়ে গ্রামে একটি পোলট্রি ফার্মে কাজ করত সে। তবে বাজার থেকে প্রচুর ঋণ করে ফেলায় স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ বাধে তার। ঋণ শোধ করার জন্য ফন্দি আঁটে শশাঙ্ক। স্ত্রী ঝুমার নামে মোটা টাকার বিমা করে তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করে সে। কিছুদিন আগে ঝুমার নামে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার বিমা করে শশাঙ্ক।

জানা যায়, সোমবার রাতে পোলট্রি ফার্মে তারা নাইট শিফটের ডিউটি ছিল। ভোরের দিকে শশাঙ্ক বাড়িতে এসে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ফের কর্মস্থলে চলে যায়। দুই ছেলেমেয়ে পাশের ঘরে শুয়ে ছিল। সকাল হতেই ঝুমার মৃত্যুর খবর পেয়ে লোকজন জড়ো হয়।

কাঁকসা থানার পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে শশাঙ্ক জানান, রাতে বাড়িতে দুষ্কৃতিদের একটি দল হানা দিয়েছিল। সমস্ত জিনিস তছনছ করে দেয়। ঝুমা বাধা দিলে দুষ্কৃতিরা তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পালিয়ে যায়।

শশাঙ্কর কথায় অসঙ্গতি পেয়ে পুলিশ তার সাত বছরের ছেলেকে জিজ্ঞাসা করতেই সত্যি ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে। এর পরে শশাঙ্ককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন।

ঝুমার বাপের বাড়ির লোকেরা জানান, বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হতো। কিন্তু দেনা শোধ করার জন্য স্ত্রীকে খুন করবে এ কথা কেউ ভাবিনি।