বীমার টাকা পেতে মেয়েকে হত্যা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমার টাকা পেতে নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন এক বাবা। এমন নির্মম-নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেছে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সিরাহা জেলার মাউলাপুরে। হত্যাকাণ্ডের শিকার মেয়েটির নাম লক্ষ্মী কুমারি যাদেব, বয়স ৪ বছর। সম্প্রতি এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা রাম কিশোর যাদেবকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।

পুলিশের মুখপাত্র নবিন কারকি জানিয়েছেন, ৩৯ বছর বয়সী রাম কিশোর যাদেব কারো কাছ থেকে জানতে পেরেছিলেন যে, বীমা করার এক মাসের মধ্যে গ্রহীতার মৃত্যু হলে দ্বিগুণ অর্থ প্রদান করে বীমা কোম্পানি। এই দ্বিগুণ সুবিধার লোভে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন যাদেব। তাই নিজের শিশু কন্যাকে হত্যা করতেও দ্বিধা করেননি তিনি।

পুলিশ বলছে, পুকুরের পানিতে ভাসতে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় শিশু কন্যা লক্ষ্মী কুমারি যাদেবকে। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে গলাটিপে শ্বাসরোধে। রাতের আঁধারে হত্যার পর বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলা হয় তার লাশ। পরদিন ভোরে সংবাদ পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তদন্তে হত্যাকারী হিসেবে লক্ষ্মীর বাবাকে অভিযুক্ত করা হয়।

তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লক্ষ্মী কুমারির উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রভূ ব্যাংকে বীমা করেন তার বাবা যাদেব। এরইমধ্যে বীমার প্রথম প্রিমিয়ামের ১ লাখ ৭৫ হাজার রুপি জমাও করেছেন তিনি। এরপরই তিনি বীমা দাবি বাবদ ২৫ লাখ রুপি পাওয়ার জন্য নিজের শিশু কন্যা লক্ষ্মীকে হত্যা করেন।

পুলিশ আরো জানিয়েছে, রাম কিশোর যাদেবের বিরুদ্ধ আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে। ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে তিনি বিভিন্ন মামলায় বেশ কয়েকবার জেলও খেটেছেন। (সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, মিলেনিয়াম পোস্ট)