বীমার টাকা পেতে এবার মা-বাবাকে হত্যা

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: বীমার টাকা পেতে এবার বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যা করেছেন পাষণ্ড এক ছেলে। এমন নির্মম-নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড ঘটেছে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের প্রকাসম জেলায়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলেকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃদ্ধ মা-বাবাকে হত্যাকারী ছেলের নাম আন্নেপু নারায়ণ রেড্ডি (৩৫) । মাদকাসক্ত আন্নেপু দীর্ঘ দিন ধরে ঋণে জর্জরিত। বেসরকারি একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তিনি কাজ করছিলেন। সম্প্রতি ৩ লাখ রুপি আত্মসাতের অভিযোগে চাকরি হারিয়েছেন আন্নেপু।

এদিকে কোম্পানির প্রতিনিধিরা আত্মসাৎকৃত অর্থ ফেরত পেতে তাকে চাপ দিচ্ছিলেন। এ অবস্থায় সহজ পথে অর্থ উপার্জনের পরিকল্পনা করেন আন্নেপু। তার ৫১ বছর বয়সী মা আদেম্মার নামে একটি মেয়াদী বীমা গ্রহণ করেন। ১৫ লাখ রুপি বীমা অংকের এ পলিসির নমিনী আন্নেপু।

দার্সি পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট জানান, বীমার এই টাকা পাওয়ার লোভে আন্নেপু নারায়ণ রেড্ডি তার মা আদেম্মা ও বাবা ভেনেকাটা রেড্ডি (৭০) কে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী গত ২০ জুলাই রাতে মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে তাদেরকে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়।

আন্নেপু ভেবেছিলেন অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধে তাদের মৃত্যু হবে। তারা ঘুমিয়ে পড়লে ছুড়ি দিয়ে তাদের হাতের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে ঘরে থাকা লোহার সিন্দুক ভেঙ্গে ফেলে আন্নেপু। যাতে করে সবাই ভাবেন যে, এটা ডাকাতির ঘটনা।

পরদিন ভোরে আন্নেপু এমন ভাব করেন যেন, ঘুমের মধ্যে অপরিচিত কেউ তার মা-বাবাকে হত্যা করেছে। তবে তিনি দাবি করেন যে, বাড়ির বাইরে ঘুমিয়ে থাকার সময় তিনি কোন শব্দ-ই শুনতে পাননি। এদিকে তার এ কথায় প্রথম দিনেই পুলিশের সন্দেহ হয়।

এদিকে সব ধরণের তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সন্দেহের তীর আন্নেপুর দিকেই। অবশেষে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বীমার টাকার লোভে আন্নেপু নারায়ণ রেড্ডিই তার মা-বাবাকে হত্যা করেছেন। গত শুক্রবার পুলিশ তাকে আটক করে এবং দু’টি হত্যায় অভিযুক্ত করে।

উল্লেখ্য, এর কয়েকদিন আগে নেপালের পূর্বাঞ্চলীয় সিরাহা জেলার মাউলাপুরে বীমার টাকা পেতে নিজের মেয়েকে হত্যা করেন এক পাষণ্ড বাবা। হত্যাকাণ্ডের শিকার মেয়েটির নাম লক্ষ্মী কুমারি যাদেব, বয়স ৪ বছর। সম্প্রতি এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা রাম কিশোর যাদেবকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।