শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার ক্ষতি কাটাতে বীমার আশ্রয়ে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বন্ধ বা ঝরে পড়ার কারণে আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বীমার আশ্রয় নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়। প্রাথমিকভাবে দেশটির ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস এর জিয়েস কলেজ অব বিজনেস এবং গ্রেইনজার কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ সুবিধা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে সিএনবিসি সম্প্রতি এ সংবাদ প্রকাশ করেছে।

তথ্য অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ৩ লাখ ৬০ হাজারের বেশি চীনা শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। এসব শিক্ষার্থী পূর্ণ টিউশন ফি ও খরচ বহন করে। এতে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব পায় মার্কিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশটির অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ দু’টি প্রতিষ্ঠানও চীনা শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভরশীল। চীনা শিক্ষার্থী কমে গেলে প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিক ক্ষতির শিকার হবে।

এ অবস্থায় আসন্ন কোন ঘটনায় আর্থিক ক্ষতি কাটাতে বীমার আশ্রয় নিয়েছে জিয়েস কলেজ অব বিজনেস এবং গ্রেইনজার কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং। ৩ বছর মেয়াদী এই বীমা পলিসি শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে। পলিসির বীমা অংক ৬১ মিলিন মার্কিন ডলার। এই বীমার প্রিমিয়াম বাবদ বছরে ৪ লাখ ২৪ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠান দু’টি।

চীনা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা বন্ধের কারণে প্রতিষ্ঠান দু’টির সমন্বিত রাজস্ব আয় কমপক্ষে ১৮.৫ শতাংশ কমে গেলে ক্ষতিপূরণ দেবে বীমা কোম্পানি। এক্ষেত্রে চীনা শিক্ষার্থীদের রাজস্ব ২০ শতাংশ কমে গেলে ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৫০ শতাংশ কমে গেলে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে বীমা কোম্পানি।

ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস এর জিয়েস কলেজ অব বিজনেস-এ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আরবানা ক্যাম্পেইনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির ডিন জেফ্রি ব্রাউন। আর ১৮৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্রেইনজার কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং’কে বিবেচনা করা হয় ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়েস এর মূল ইউনিট।

বীমা পলিসিটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন জিয়েস কলেজ অব বিজনেস’র ডিন জেফ্রি ব্রাউন। তিনি জানিয়েছেন, এ ধরণের বীমা পলিসি এটাই প্রথম। যার কারণে এই বীমার পলিসির কোন অবলিখন কর্মকর্তা যেমন ছিল না তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এ ধরণে বীমা পলিসি দেখেনি। এসব কারণে এই পলিসি চালু করতেও বেশ সময় লেগেছে।