গ্রামাঞ্চলে বীমার কভারেজ বাড়ানোর আহবান

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: গ্রামাঞ্চলে বীমা কভারেজ বাড়ানোর আহবান জানিয়েছে পাকিস্তানের ইউবিএল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জিশান রাজা।  দেশটির সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রামাঞ্চলে বীমা সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে বীমার গুরুত্ব দেওয়া দরকার।  যেখানে পাকিস্তানের ৬০ শতাংশ  মানুষ গ্রামে বসবাস করে। এদেরকে বাহিরে রেখে বীমা শিল্পের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়।  গ্রামীণ মানুষদেরকেও বীমা শিল্পের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

গোল্ডেন ভিলেজ স্পেসের সাথে একটি সাক্ষাত্কারে জিশান রাজা বলেন, বর্তমানে বীমা গ্রাহকরা গ্রামাঞ্চলে বীমা শাখা খোলার প্রয়োজনীয়তা খুঁজে পান না কারণ সেখানে কেউ বীমা কিনতে রাজি নয়।

তিনি আরো বলেন গ্রাম অঞ্চলের মানুষজন বীমা সম্পর্কে অসচেতন কারণ উদাহরণস্বরূপ পশুসম্পদ বীমা সম্পর্কেও তাদের কোনও ধারণা নেই।

জিশান রাজা বলেন সরকার সকল শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে ব্যাংকগুলির শাখা পরিচালনা করা বাধ্যতামূলক করেছে, ফলে গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকিং আরও খ্যাতি অর্জন করেছে, ঠিক বীমা সংক্রান্ত বিষয়েও সরকার একই চাপ প্রয়োগ করতে পারে, বীমা ব্যবসায়ীদের সারা দেশে লেনদেন করার আহ্বান জানালেও বীমা কোম্পানিগুলো তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

স্বাস্থ্য বীমা:

তিনি বলেন যে দেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে যারা বসবাস করতেছে তাদেরকে সরকার পরিচালিত স্বাস্থ্য সুরক্ষা উদ্যোগ সেহাত সাহুলাত প্রোগ্রামকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেশে স্বাস্থ্য বীমাকে ব্যাপকভাবে উন্নীত করা হয়েছে। সরকার দেশব্যাপী এই স্বাস্থ্য বীমা কর্মসূচি চালু করতে কাজ করছে।

রাজা জিশান প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি তিনি স্বাস্থ্য বীমা ব্যতীত অন্য কোনও বীমা প্রচার করেন তবে এই শিল্পকে সত্যিই সহজীকরণ করতে পারে।" তিনি আরো বলেন যে বেসরকারী সংস্থাগুলি যে গ্রামগুলিতে সহায়তা করছে তাদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা কিনে তারাও অবদান রাখছে।

তিনি বলেন পাকিস্তানের বীমা অনুপ্রবেশ ০.৮৫ শতাংশ এবং এক বছরে বীমা বাজারের মূল্য ৮০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি থেকে ১০০ বিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি দাঁড়িয়েছে।  এর মধ্যে পাকিস্তানি বীমা বাজার পুনর্বীমা কিনতে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রায় পাকিস্তানি ৬০-৭০ বিলিয়ন রুপি পরিশোধ করেছে।  

রাজা বলেন পাকিস্তানে বর্তমানে ২৯ টি বীমা কোম্পানি কাজ করতেছে যার মধ্যে ইউবিএল বীমা কোম্পানি পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যার শেয়ার মার্কেট ৫ শতাংশ।