বীমা শিখতে হবে প্রাইমারি থেকেই

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: শিক্ষার্থীরা প্রাইমারি স্কুল থেকেই বীমা বিষয় শিখবে এমন যুগান্তকারি সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে প্রাইমারি স্কুল থেকে পাঠ্য পুস্তকে বীমা শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এরইমধ্যে বীমা পাঠ্যসূচির গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে টেকনিক্যাল কমিটি অন ইন্স্যুরেন্স (টিসিআই) ।

দেশটির আর্থিক নীতি নির্ধারণী স্টিয়ারিং কমিটি ন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল ইনক্লুজন স্ট্র্যাটেজি (এনএফআইএস)'র এমন প্রস্তাব গ্রহণ করে। এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বিজনেস রেকর্ডার ।

এনএফআইএস স্টিয়ারিং কমিটিকে দেয়া সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অব পাকিস্তান (এসইসিপি) এর প্রস্তাবনা অনুসারে, তৃণমূল পর্যায়ে বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে দেশটির সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে বীমা শিক্ষা প্রবর্তন করা হচ্ছে।

পাঠ্যসূচি উন্নয়নের বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়াও পরামর্শদান ফি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, ভ্রমণ এবং মিডিয়া প্রচারাভিযানের অর্থ যোগান দিতে এনএফআইএস সচিবালয়কে প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে।

বীমাখাতের উন্নয়নে আরো দু'টি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। বীমা গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের জন্য বীমা সম্পর্কিত পরিভাষা সহজবোধ্য করতে পলিসি পত্রে মাতৃভাষা ব্যবহার এবং ইনহ্যান্স ডিউ ডিলিজেন্স বা ইডিডি'র শর্তগুলোকে আরও বেশি কুশলী করা। ডিজিটাল মাধ্যমে ইন্স্যুরেন্স ব্যবসার ক্ষেত্রে এ ইডিডি প্রয়োগ করা হয়।

শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ বীমার আওতার বাইরে থাকায় আইনগতভাবে গ্রুপ লাইফ ইন্স্যুরেন্স বাধ্যতামূলক করার কথাও বলা হয়েছে প্রস্তাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের বিধিনিষেধমূলক প্রযোজ্যতাকে এর জন্য দায়ী করা হয়েছে। ৫০ জনের বেশি শ্রমিক বিশিষ্ট কোম্পানিতে এই আইন প্রযোজ্য। বিষয়টি ইন্টার প্রভিন্সিয়াল কোঅর্ডিনেশন মন্ত্রণালয়ে উত্থাপিত হয়েছে।