বীমার সুবিধা সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

আবদুর রহমান: বীমার কি কি সুবিধা রয়েছে সে বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বীমার টাকা তুলতে গিয়ে মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এক্সিকিউটিভ কমিটি অব ন্যাশনাল ইকনোমিক কাউন্সিল (একনেক)'র সভায় এসব নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। একনেক'র ওই সভায় বাংলাদেশের বীমাখাত উন্নয়ন শীর্ষক ৬৩২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পালনে গত ১ এপ্রিল রোববার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষে (আইডিআরএ) চিঠি দিয়েছে সরকারের পরিকল্পনা বিভাগ। ওই চিঠির প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার সকল বীমা কোম্পানিকে নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে চিঠি দিয়েছে আইডিআরএ।

জানা গেছে, দেশের বীমাখাতকে যুগোপযোগী ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে ৬৩২ কোটি টাকার "বাংলাদেশের বীমাখাত উন্নয়ন" প্রকল্প অনুমোদন করেছে একনেক। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। বাকি অর্থ সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ইন্স্যুরেন্স করপোরেশনের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। একই সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে বীমা কভারেজ বাড়ানো হবে।

প্রকল্পের আওতায় প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সার্বিক অটোমেশনে প্রয়োজনীয় আইসিটি সুবিধা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি সৃষ্টি করা। এছাড়া বীমা একাডেমির প্রশিক্ষণ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি এটার আধুনিকায়ন করা হবে।

বীমা সেবা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, বীমাখাতে ঝুঁকিভিত্তিক তত্ত্বাবধান পদ্ধতি প্রবর্তন, বীমা তথ্য বিশ্লেষণ ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে পরামর্শক সেবা সংগ্রহ করা এবং বিভিন্ন সম্পদ সংগ্রহ করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। আগামী ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আইডিআরএ'কে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হবে।