সিইওসহ প্রগ্রেসিভ লাইফের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রগ্রেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)সহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন কোম্পানিটির একজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি)। বেতন-ভাতা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২৫ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। সিআর মামলা নং ৪৭৬/২০১৯। 

মামলার আসামিরা হলেন, প্রগ্রেসিভ লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) দীপেন কুমার সাহা রায়, প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র নাথ, হেড অব এইচআর মসিউর রহমান ও সহকারী  ব্যবস্থাপনা পরিচালক (উন্নয়ন প্রশাসন) আবুল মুনসুর আহমেদ।  কোম্পানিটির ডিএমডি মো. খায়রুল হাসান সুমন এ মামলার বাদী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বাদীর ৩০ মাসের বেতন ও অন্যান্য সুবিধাদীসহ মোট ২৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা অবৈধভাবে আত্মসাৎ করেছেন কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা দীপেন কুমার সাহা রায় । এক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করেছে মামলার অপর তিন আসামি।  এ ছাড়াও বাদীকে চাকরিচ্যুত এবং তার নামে বরাদ্দ গাড়ি বাতিলের হুমকি দেন আসামিরা।

এ বিষয়ে প্রগ্রেসিভ লাইফের সিইও দীপেন কুমার সাহা রায় বলেন, প্রিমিয়ামের টাকা ভেঙ্গে ফেলার কারণে ডিএমডি খায়রুল হাসান সুমনকে বেতনভুক্ত কর্মকর্তা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তবে কমিশনের ভিত্তিতে তাকে আমরা কাজের সুযোগ দিয়েছি। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, এরপর দু’বছরের বেশি সময় কমিশন ভিত্তিতে চাকরি করেছে খায়রুল হাসান। এ সময় কমিশনের টাকা রিসিভ করার পাশাপাশি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ক্যাশ করেছেন তিনি। তবে গত ২/৩ মাস ধরে তিনি অফিসে আসছেন না এবং কোন ব্যবসাও দিচ্ছেন না।

এ অবস্থায় তাকে নোটিশ করা হয়েছে অফিসের গাড়িসহ কাগজপত্র বুঝিয়ে দেয়ার জন্য। নোটিশের পর থেকে তিনি মামলার হুমকি দিয়ে আসছিলেন এবং থানায় অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা থেকে তদন্তও করেছে। তদন্তে অভিযোগের কোন সত্যতা পায়নি। এ ঘটনার পর তাকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান দীপেন কুমার।

এ বিষয়ে মামলার বাদি খায়রুল হাসান সুমন ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’কে বলেন, আমি ২০১২ সালে প্রগ্রেসিভ লাইফে যোগদান করি। ওই সময় থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বেতন ভিত্তিক চাকরি করেছি। নিয়মিত বেতন ভাতা পেয়েছি।  পরবর্তীতে দীপেন কুমার সাহা কোম্পানিতে মূখ্য নির্বাহী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর টার্গেট পূরণ না করার মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে কমিশন ভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করেন। অথচ একই সময়ে কোম্পানিতে অন্য কর্মকর্তারাও টার্গেট পূরণ করেনি। তবে তাদেরকে কমিশন ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়নি।

মূলত ব্যক্তিগত আক্রোশ আমাকে হেনস্থা করা ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে আমাকে হয়রানি করতে থাকে দীপেন কুমার সাহা। আমার সংগঠনের কর্মীদের তিনি অবৈধভাবে নিজের পছন্দের কর্মকর্তাদের সংগঠনে নিয়ে যায়। এসব বিষয় নিয়ে কোম্পানি কাছে লিখিতভাবে বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাইনি। তাই আমার ন্যয্য পাওনা আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছি।