আজিজুল ইসলামের ৩ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভ্রান্তি

নিজস্ব প্রিতেবদক: মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত পরের পদে আজিজুল ইসলামের ৩ বছর থাকা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া গেছে। সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে আজিজুল ইসলামের যোগদানপত্র, পদোন্নতিপত্র, কোম্পানিটির সার্ভিস রুল ও বিভিন্ন বছরের আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যের কোনো মিল না থাকায় এ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।  ইন্স্যুরেন্স নিউজ বিডি’র নিজস্ব অনুসন্ধান ও বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

আজিজুল ইসলাম সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পান ২০০২ সালের ১ জানুয়ারি।  পদোন্নতিপত্রটি ইস্যু করা হয় ২০০১ সালের ৩০ ডিসম্বর।

পদোন্নতিপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে আজিজুল ইসলামকে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( টেক) পদে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।  এ সময় তার বেতন বার্ষিক ইনক্রিমেন্টসহ দেড় হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩২  হাজার টাকা করা হয়। পদোন্নতিপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, তার নিয়োগপত্রের সকল শর্ত আগের মতোই বহাল থাকবে।

আজিজুল ইসলাম সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) হিসেবে সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সে নিয়োগ পান ১ ডিসেম্বর ২০০০ সালে। এ নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয় ২০০০ সালের ২২ নভেম্বর।  এ সময় তার বেতন ধরা হয় ৩০ হাজার ৫০০ টাকা।

নিয়োগপত্রে উল্লেখ করা হয়, কোম্পানির সার্ভিস রুল এবং নিয়ম মেনে চাকরি করতে হবে এবং এক্ষেত্রে যদি তার কাজের পরিধি, বেতন, পদমর্যাদা পরিবর্তন হয় তাহলে তা মেনে নিতে হবে।

অন্যদিকে, সার্ভিস রুল অনুসারে কোম্পানির অরগানোগ্রামে ২০১২ সালের আগে এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর বা ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদ ছিল না। পদ দু’টি অনুমোদন পায় ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি। অথচ ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদটিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পদ হিসেবে ধরে প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ পান আজিজুল ইসলাম।

এ ছাড়াও আজিজুল ইসলামের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্নপদে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার বিষয়ে সাবেক বীমা অধিদপ্তরের পাঠানো চিঠির জবাবে ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল সিটি জেনারেল জানায়, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত নিম্ন পদ। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন কোম্পানিটির তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ হামিদ।

এদিকে ২০১০ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে প্রকাশিত কোম্পানিটির শীর্ষ কর্মকর্তাদের তালিকায় দেখা যায়, এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদটি কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত পরের পদ। আবার ২০১২ সালের আর্থিক প্রতিবেদনে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি কোম্পানির মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের পদ। অথচ ২০১২ সালেই অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদটি তৈরী হয় এবং ওই সময় এটি শূন্য ছিল।

তাই কোন পদটি মূখ্য নির্বাহীর অব্যবহিত পরের পদ তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে। এমন অবস্থায় সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আইডিআরএ'কে এ বিভ্রান্তি দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।