বীমা শিল্পের উন্নয়নে অর্থমন্ত্রীর ১১ সুপারিশ

 

নিজস্ব প্রতিবেক: বীমা শিল্পের উন্নয়নে ১১ সুপারিশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অ হ ম মোস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সভায় এ সুপারিশগুলো করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব বাস্তবায়নে বেশ কিছু কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
আইডিআরএ সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রীর সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, বীমা কোম্পানিগুলোর যে বিশেষ নিরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে তার টর (টিওআর) পর্যালোচনা করা। নগদ লেনদেন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বীমা দাবী পরিশোধ হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। নন লাইফের কমিশন কমিয়ে আনা। নন লাইফের প্রিমিয়াম হার নির্ধারণে নন ট্যারিফ মার্কেট সৃষ্টি। হাওড় এলাকায় শস্য বীমা চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ। স্বাস্থ্য বীমা প্রচলন, লস অব প্রফিট ইন্স্যুরেন্স চালুর ব্যবস্থা করা।ডাবল ইন্স্যুরেন্স এর প্রচলন। অগ্নি ও ভূমিকম্পসহ বড় ধরনের দূর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে বড় ভবনগুলোর বাধ্যতামূলক বীমার আওতায় নিয়ে আসা ও বেকারত্ব বীমা চালুর ব্যবস্থা করা।
এ প্রসঙ্গে আইডিআরএর নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) খলিল আহমদ বলেন, অর্থমন্ত্রী এ খাতের উন্নয়নে বেশ কিছু সুপারিশ করেছেন। সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে নিয়ন্ত্রণ কর্র্তৃপক্ষও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশা করছি এগুলো বাস্তবায়ন হলে খাতটি ঘুরে দাঁড়াবে। পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে বীমা খাতে।
সূত্রটি আরো জানায়, এরই মধ্যে সরকারি বড়বড় ভবনগুলোর একটি পরিসংখ্যান ভিত্তিক ডাটা নেয়ার নেয়ার জন্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। ভবনগুলোর বীমা করা আছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে আইডিআরএ থেকে। এছাড়া লস অব প্রফিট ইন্স্যুরেন্স চালুর জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের বীমা প্রডাক্টগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করছে সংস্থাটি।
এদিকে, শস্য বীমা বিষয়ে সাধারণ বীমা করপোরেশন ও গ্রীণডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি বরাবর তথ্য চাওয়া হয়েছে । তবে বাংলাদেশে নন ট্যারিফ মার্কেট চালু করা হলে বেশিরভাগ বীমা কোম্পানির ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব হবেনা বলে মনে করছে আইডিআরএ। এজন্য ননলাইফের ট্যারিফ পুনঃ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। নতুন ট্যারিফ রেট চালু হলে পূর্বের তুলনায় বীমা প্রিমিয়াম অনেক কমে যাবে বলে আশঙ্কা করছে আইডিআরএ।