অনুমোদন পেলেন সানাউল্লাহ, বেতন বাড়লো ১ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: দাখিল করা কোনো দলিল অসত্য হলে নিয়োগ বাতিল হবে। এমনই শর্ত যোগ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মো. সানাউল্লাহকে তৃতীয়বারের মতো নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। গত জুন মাসে তার নিয়োগ নবায়নের এই অনুমোদন দেয়া হয়। তবে এর আগে ২ বারের নিয়োগ অনুমোদনে এ ধরনের কোনো শর্ত আরোপ করা হয়নি।

উল্লেখ্য, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার অব্যবহিত পরের পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতা নেই। এমন অভিযোগ রয়েছে মো. সানাউল্লাহর বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।

সূত্রমতে, এবারের নিয়োগ নবায়নে সানাউল্লাহ’র বেতন-ভাতা ১ লাখ টাকা বাড়িয়ে সর্বসাকুল্যে সাড়ে ৩ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে চুক্তিপত্রে নির্ধারিত অন্যান্য সুবিধাদিও প্রাপ্ত হবেন তিনি। তবে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতিত চুক্তিপত্রে বর্ণিত বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদির কোন তারতম্য করা যাবে না। ১৬ মে, ২০১৯ থেকে ১৫ মে, ২০২২ সাল পর্যন্ত তার নিয়োগ নবায়ন করা হয়েছে।

তবে সানাউল্লাহ’র এবারের নিয়োগ নবায়নে নতুন একটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। ওই শর্তে বলা হয়েছে, আবেদনপত্রের সাথে দাখিলকৃত দলিলাদি ভবিষ্যতে অসত্য বা সঠিক নয় প্রমাণিত হলে তার দায়ভার কোম্পানি ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে বহন করতে হবে এবং সেক্ষেত্রে এই নিয়োগ নবায়ন অনুমোদন বাতিল বলে গণ্য হবে। 

অসত্য দলিল দাখিলের বিষয়ে বীমাখাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপকালে তারা বলেন, মূখ্য নির্বাহী নিয়োগের জন্য আইডিআরএ’র নির্দেশ অনুসারে ১৫ ধরণের দলিল দাখিল করতে হয়। এসব দলিল সত্য না অসত্য তা দেখার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। দালিলাদি যাচাই করে মূখ্য নির্বাহী নিয়োগ অনুমোদন দেয়নি এমন নজিরও রয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষের কাছে একজন প্রার্থীর সকল নথিপত্র দাখিল করার পরও তার সত্যতা-অসত্যতার দায়ভার কোম্পানির ওপর বর্তানো হলে তা হবে বীমাখাতে সুশাসনের অন্তরায়।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ মে প্রথমবারের মতো সানাউল্লাহকে মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ অনুমোদন দেয় আইডিআরএ। এরপর ২০১৬ সালে তাকে আবারো ৩ বছরের জন্য মূখ্য নির্বাহী পদে নিয়োগ নবায়নের অনুমোদন দেয়া হয়। এসময় তার বেতন নির্ধারণ করা হয় সর্বসাকুল্যে আড়াই লাখ টাকা।