১২ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পুনর্বীমার প্রিমিয়ামের নামে ১২ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স। আর পুনর্বীমার কমিশনের টাকা নিয়েছেন কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা। এমন অভিযোগের বিষয়ে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) তদন্তে নেমেছে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে একজন বীমা কর্মকর্তা। গত এপ্রিলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কাছে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়। 

বীমা কর্মকর্তার ওই অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে পুনর্বীমার প্রিমিয়ামের নামে ১২ কোটি ১৬ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এই টাকা পাঠানো হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গুলশান ব্রাঞ্চ থেকে। কোম্পানিটি বর্তমানেও অবৈধভাবে বিদেশে পুনর্বীমা করছে। পুনর্বীমার প্রিমিয়ামের টাকা পাঠানো হচ্ছে যমুনা ব্যাংক গুলশান শাখার মাধ্যমে।

ওই অভিযোগ বলা হয়েছে, বিদেশি কোম্পানির সাথে পুনর্বীমা করে অবৈধভাবে কমিশন নিচ্ছেন কোম্পনিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদী খানম ও পুনর্বীমা বিভাগের প্রধান সুজিত কুমার ভৌমিক।

অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, পুনর্বীমাযোগ্য প্রিমিয়ামের ৫০ শতাংশ পুনর্বীমাকারী সরকারি প্রতিষ্ঠান সাধারণ বীমা করপোরেশনে করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর ফ্যাকালটেটিভ পুনর্বীমা সাধারণ বীমা করপোরেশন গ্রহণ না করলে বিদেশী পুনর্বীমাকারীর সাথে করা যায়।

অন্যদিকে বীমা অংকের পরিমাণ অগ্নিবীমার ক্ষেত্রে ৪০০ কোটি টাকার নিচে হলে বিদেশী পুনর্বীমা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে প্রিমিয়াম মূল্য হার (রেট) নেয়া যায় না। কিন্তু এসব আইনী বাধ্যবাধকতার কোনোটিই মানছে না প্রাইম ইন্স্যুরেন্স।

এ বিষয়ে জানতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ’র সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। এ বিষয়ে তিনি আইডিআরএ’র মুখপাত্র গকুল চাঁদ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।

পরে আইডিআরএ’র সদস্য ও প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র গকুল চাঁদ দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অবহিত নয় বলে জানান। নন-লাইফের সদস্য না হওয়ায় এ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না বলেও উল্লেখ করেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদী খানমের মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

পরে কোম্পানিটির জনসংযোগ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাইরে আছেন উল্লেখ করে বিষয়টি নিয়ে মূখ্য নির্বাহীর সঙ্গেই যোগাযোগ করতে বলেন।