নন-লাইফ বীমাখাতের দুর্নীতি বন্ধে ঐক্যমতে মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নন-লাইফ বীমাখাতে অবৈধ কমিশন বন্ধসহ দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধে ঐক্যমতে এসেছেন বীমা মালিকরা। ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন না দেয়া, কমিশন ভিত্তিক কোন এক্সিকিউটিভ নিয়োগ না দেয়া, ৩টি ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ও একটি একাউন্টের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা ব্যয় পরিচালনাসহ আইডিআরএ’র ৬২ ও ৬৪ নং সার্কুলার বাস্তবায়নে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। আজ বৃহস্পতিবার বীমা মালিকদের সংগঠন বিআইএ’র এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

সম্মেলনটিতে বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেনের পক্ষে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের ভাইস-চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বেআইনিভাবে এজেন্টকে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন দেয়ার কারণে বীমা কোম্পানিগুলো আর্থিকভাবে সংকটের সম্মুখীন।

তাই আইডিআরএ এবং বিআইএ’র যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ আগস্ট থেকে আইন কঠোরভাবে প্রতিপালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদি কোন বীমা কোম্পানি, ব্যাংক এবং বীমা গ্রহীতা এই ধরণের বেআইনী লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।    

তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই আইডিআরএ, বিআইএ এবং সকল নন-লাইফ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে আইডিআরএ’র চেয়ারম্যন নন-লাইফ বীমাখাতের উন্নয়নের জন্য ১৫ শতাংশের বেশি এজেন্ট কমিশন দেয়াকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন।

এরপর গত ২৫ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর’র সভাপতিত্বেব অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, আইডিআরএ এবং বিআইএ’র প্রতিনিধিদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ১৫ শতাংশের অধিক কমিশন বন্ধ এবং আইডিআরএ সার্কুলার অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত সকল বিষয়ে সহযোগিতার প্রদানে সম্মত হন।