জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়, অতিবৃষ্টি, ভূমিধস, খরা ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। এতে করে প্রতি বছর প্রান্তিক জনগোষ্ঠী তথা ক্ষুদ্র আয়ের মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ হিসেবে আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন আয়োজনা করা হয়েছে।

এমনটাই জানিয়েছেন ইনক্লুসিভ ইন্স্যুরেন্স ফর ইমার্জিং মার্কেটস: কোপিং উইথ ক্লাইমেট রিস্ক শীর্ষক সম্মেলনের আয়োজকরা। আগামী ৫ থেকে ৭ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে এ সম্মেলন। আজ বুধবার এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান আয়োজক কমিটির সদস্য ও প্রগতি লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালালুল আজিম।

তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার বিনিময় হবে। এর মাধ্যমে দেশের বীমা বিশেষজ্ঞগণও উপকৃত হবেন। বীমা শিল্পের নানার বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তারা নতুন নতুন প্রোডাক্ট তৈরির ধারণা লাভ করতে পারবেন। যা দেশের বিকাশমান বীমা শিল্পকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীমার উন্নয়নে কাজ করছেন উল্লেখ করে বিআইএ'র প্রথম ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর রুবিনা হামিদ বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে বীমা সুবিধা দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা অন্যান্য দেশের কাছ থেকে বীমা বিষয়ে আরো জানতে পারবো।

তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো বীমা সুবিধা দিচ্ছে। তাদের বদলে বীমা কোম্পানি এই বীমা করলে দেশের বীমাখাতের পরিধি আরো বাড়বে। বিদেশে ঋণের বীমা করে থাকে বীমা কোম্পানিই। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে দেশে বীমার পেনিট্রেশন আরো বাড়বে।     

সংগঠনটির ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও নিটল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান এ কে এম মনিরুল হক বলেন, নন-লাইফ খাতে ক্ষুদ্রবীমার অনেক প্রোডাক্ট (বীমা পরিকল্প) আছে। এরইমধ্যে দেশে গাদিপশু বীমা, শস্য বীমা ও স্বাস্থ্য বীমা ছোট আকারে শুরু হয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন থেকে লাইফ বীমার পাশাপাশি নন-লাইফ বীমাও অনেক সুবিধা নিতে পারবে।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রুপালী ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পিকে রায় এফসিএ বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ২০১৩ সালে কৃষি ও ক্ষুদ্রবীমার উন্নয়নে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনা করা হয়। ওই সম্মেলনে এবারের মতো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য না থাকলেও তা থেকে উপকৃত হয়েছে বীমাখাত।