কমিশন বেশি দিয়ে ব্যবসা: ৯ কোম্পানির অভিযোগ ১১ কোম্পানির অস্বীকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক কোম্পানির ব্যবসা নিয়ে যাচ্ছে অপর কোম্পানি। যেসব কোম্পানি ব্যবসা হারাচ্ছে তাদের অভিযোগ অপর কোম্পানি ব্যবসা নিয়ে যাচ্ছে কমিশন বেশি দিয়ে। পাল্টা পাল্টি অভিযোগও করছেন একে অপরের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে এসব অভিযোগ কেউই স্বীকার করছেন না। আবার অভিযোগের প্র্রমাণ চাইলেও তার অধিকাংশ দিতে পারছে না অভিযোগকারিরা। এমন পরিস্থিতিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কঠোর পদক্ষেপ না নিলে অবৈধ কমিশন বন্ধের সকল উদ্যোগই ভেস্তে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এবার ১১টি বীমা কোম্পানির বিরুদ্ধে কমিশন বেশি দিয়ে ব্যবসা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথি-পত্র ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র হাতে এসেছে। অভিযুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্স।

এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে- গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেস, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স, তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স এবং ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স।

গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স অভিযোগ করেছে আদিত্য মজুমদার নামে তাদের একজন বীমা গ্রাহকের নবায়ন ব্যবসা কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স নিয়েছে। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ওই পলিসি নম্বর- জিডিআই/জেএসআর/০৮/২০১৮/এমটিআর/২৪৬৮। কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স থেকে ইস্যুকৃত নবায়ন পলিসি নং সিআইএল/জেইএসএস/এমভি/সিভি/সিইআরটি-০০৩১/০৮/২০১৯। গত ২৬ আগস্ট পলিসিটি নবায়ন করেছে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্স।

এ বিষয়ে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা চৌধুরী বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত অন্য কারো ব্যবসা গ্রহণ করব না বলে আমরা সব বীমা কোম্পানি একমত হয়েছি। কিন্তু এরপরও কোন কোন কোম্পানি অন্য কোম্পানির ব্যবসা নিয়েছে। এরকম কয়েকটি ব্যবসা আমাদেরও এসেছিল, সেগুলো আমরা বাতিল করেছি। কিন্তু কন্টিনেন্টালসহ কয়েকটি বীমা কোম্পানি আমাদের ব্যবসা নিয়েছে, যারা এখনো সেগুলো বাতিল করেনি।

এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে মূখ্য নির্বাহীর বরাত দিয়ে কোম্পানি সেক্রেটারি আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই আমরা তার সমাধান করেছি। এ নিয়ে আর কোন সমস্যা নেই। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী হয়তো বিষয়টির সবশেষ অবস্থা অবহিত নন।

কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান তারেকে বিরুদ্ধে একজন অভিযোগ করেছেন, গুলশান শাখায় তিনি ৯০ শতাংশ কমিশন দিয়ে অবৈধভাবে আরএফএল প্রাণ গ্রুপের ব্যবসা করছেন। গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের কাছে অভিযোগটি দায়ের করা হয়। তবে অভিযোগকারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

এ বিষয়ে কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের কোম্পানি সেক্রেটারি আতাউর রহমান বলেন, কে বা কারা এ ধরণের অভিযোগ দিয়েছে তা জানা নেই। তবে আমরা কখনই নিয়মের বাইরে গিয়ে ব্যবসা করি না। এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিষ্ঠানের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। ব্যবসা কম হলেও অতিরিক্ত কমিশন দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স অভিযোগ করেছে, মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের বংশাল শাখা ৩০ শতাংশ কমিশনে বাকীতে ব্যবসা করছে।

এ বিষয়ে মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও বানোয়াট। তারা যে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসার ব্যাপারে অভিযোগ করেছে, আসলে সেই প্রতিষ্ঠানের কোন ব্যবসাই আমরা করিনি। এমনকি ওই গ্রাহকের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি- গ্রাহক জানিয়েছেন, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স তাকে আমাদের কোম্পানির নাম বলতে চাপ প্রয়োগ করেছে। ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান ফিরোজ আহমেদ।

ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযোগ অস্বীকার করতেই পারে। কিন্তু আমরা তো গ্রাহকের নাম-ঠিকানা এমনকি ফোন নম্বরও অভিযোগপত্রে তুলে ধরেছি। চাইলেই সেটা যাচাই করার সুযোগ রয়েছে। গ্রাহক ছাড়াও ব্যাংক থেকে বিষয়টি জানার সুযোগ রয়েছে। ঘটনাস্থলে গেলে আমি প্রমাণ করে দিতে পারি। আসলে নৈতিকতা ঠিক না থাকলে এমনটি বলাই স্বাভাবিক।

এ ছাড়াও ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের আগ্রাবাদ শাখার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের। কোম্পানিটি বলছে, চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার মেসার্স ট্রান্সবাংলা ওসার ক্যারিয়ার্স লি. এর ব্যবসা বাকীতে নিয়ে গেছে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স।

ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, অভিযাগ দাখিলের পর ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স পলিসিটি বাতিল করতে চেয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে পলিসি তারা বাতিল করেনি। অভিযোগ সত্য না হলে তারা ব্যবসা বাতিল করতে চাইত না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এএমএম মহিউদ্দিন চৌধুরী’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি নিয়ে এর আগে একবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান।

এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ করেছে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স। অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটির বীমা গ্রাহক মেসার্স মিনার এন্ড প্যাকেজিং এর মেরিন ও ফায়ার ব্যবসা এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স ৩০ শতাংশ কমিশন বা তার বেশি দিয়ে ব্যবসা নিয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কেএম সাইদুর রহমান জানিয়েছেন, ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের এই অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। বিষয়টি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাদের এই অভিযোগের পক্ষে আমরা প্রমাণাদি দেখাতে বলেছিলাম কিন্তু তারা তা দেখাতে পারেনি।

এ বিষয়ে ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহকের একটি ব্যবসার কথা অস্বীকার করেছে, কিন্তু ওই গ্রাহকের অন্য ব্যবসা তো তারা করছে। বেশি সুবিধা না দিলে আমাদের অনেক পুরনো গ্রাহক তাদেরকে ব্যবসা দেবে কেনো। গ্রাহক ও ব্যাংকের কাছে গেলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে।

এদিকে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স ও দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স। অভিযোগে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে একেএইচ গ্রুপের বীমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স। কিন্তু গত আগস্টে আইডিআরএ’র নিয়মানুযারী ব্যবসা করতে চাইলে তারা বীমা ব্যবসা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে একেএইচ গ্রুপ তাদের জানিয়েছে, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এবং পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি তাদের সাথে পূর্বের ন্যায় লেস করে ব্যবসা করেন। আইডিআরএ’র আইন মেনে চলায় ব্যবসা পাচ্ছে না বলে জানিয়েছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।

সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল খালেক মিয়া’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে ব্যবসা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। অভিযোগে বলা হয়েছে, পনের বছর ধরে সজীব করপোরেশন ও হাসেম গ্রুপের ব্যবসা করে আসছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স। কিন্তু অতিরিক্ত সুবিধা দিয়েছে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স পলিসিটি গ্রহণ করেছে।

রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ করেছে ঢাকা ইন্স্যুরেন্স। অভিযোগে বলা হয়েছে, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের সাথে চুক্তি থাকা অবস্থায় ৭৮ দিন পূর্বে মেসার্স মক্কা মেরিন শীপের ব্যবসা রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স নবায়ন করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা ইন্স্যুরেন্স এ অভিযোগ করেছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদ-উল-হাসান’র সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাকে পাওয়া যায়নি।

নওগাঁয় মেসার্স আরমান চাউল কলের ব্যবসা বেশি কমিশন দিয়ে পিপলস ইন্স্যুরেন্স নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স। অভিযুক্ত কোম্পানির শাখা ম্যানেজারকে শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ দাখিল করেছে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স।

এ বিষয়ে পিপলস ইন্স্যুরেন্সের নওগাঁ ব্রাঞ্চ ইনচার্জ এএমএ আল-মামুন সোহেল ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’কে বলেন, নওগাঁয় ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের কোন ব্রাঞ্চ নেই, বগুড়া থেকে তারা এখানে ব্যবসা করে। কিন্তু পিপলস ইন্স্যুরেন্সের ব্রাঞ্চ নওগাঁ সদরেই। প্রয়োজনের সময় পিপলস ইন্স্যুরেন্সকে পাশেই পাওয়া যাবে বলে গ্রাহক ইস্টল্যান্ডকে আর ব্যবসা দেননি। তবে কমিশন বেশি বা অন্য কোন সুবিধা আমরা গ্রাহককে দেইনি। এ বিষয়ে একটি লিখিতও দিয়েছেন বীমা গ্রাহক।

অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ৩টি মেরিন কভার নোটে ভুল রেট প্রয়োগ করে প্রিমিয়াম নির্ধারণ করে কভার নোট ইস্যু করেছে বলে অভিযোগ করেছে এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স। চিটাগাং ডেনিম মিলস’র নামে কভার নোট ইস্যু করেছে ০.৩০ শতাংশ রেটে, যা হবে ০.১৯ শতাংশ। গত ৯ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন’র সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ ছাড়াও সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে ৩০ শতাংশ কমিশন দিয়ে চট্টগ্রামের মেসার্স অটোমেশন এন্ড কন্ট্রোলস লি. এর ব্যবসা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স।

এ ব্যাপারে সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) শমসের হাসানকে পাওয়া যায়নি।   

ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে প্রতিযোগিতার অভিযোগ করেছে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির ইস্যুকৃত কভার নোটে ধার্য্যকৃত রেট ১.১৫ শতাংশ এবং কভার নোটের মূল্য ০.৬০ শতাংশ বলে উল্লেখ করেছে তাকাফুল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স।

ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্সের বীমা গ্রাহক মেসার্স ক্যাসোপিয়া এবং অন্যান্যদের ব্যবসা কম রেটে এবং কম প্রিমিয়ামে অন্য এক কোম্পানি পলিসি নবায়ন করেছে বলে অভিযোগ করেছে বীমা কোম্পানিটি। এক্ষেত্রে অভিযুক্ত কোম্পানির নামোল্লেখ করেনি ইস্টার্ণ ইন্স্যুরেন্স। গত ১৯ সেপ্টেম্বর এ অভিযোগ করা হয়।

উল্লেখ্য, অবৈধ কমিশন বন্ধে ১৫ শতাংশ কমিশন বাস্তবায়নে গত জুনে ৬২ নং সার্কুলার জারি করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । এরপরই তা বাস্তবায়নে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও মূখ্য নির্বাহীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একাধিক সভায় ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন না দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এ ছাড়াও ডিসেম্বর পর্যন্ত এক কোম্পানির ব্যবসা অপর কোন কোম্পানি গ্রহণ করবে না বলে সবাই একমত পোষণ করে।