বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৩.৪৭ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে দেশের বীমাখাতে। গেলো বছর লাইফ ও নন-লাইফ বীমাখাতে সম্মিলিতভাবে প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৩.৪৭ শতাংশ। এ ছাড়াও এককভাবে লাইফ বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ১.৫০ শতাংশ এবং নন-লাইফে কমেছে ৭.৪৬ শতাংশ। এই তথ্য প্রকাশ করেছে বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। জাতীয় বীমা দিবস ২০২১’র স্মরণিকায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে দেশের বীমাখাতে সর্বমোট ১৩ হাজার ৮২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে এই সংগ্রহ ছিল ১৪ হাজার ৩১৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২০২০ সালে দেশের লাইফ ও নন- লাইফ বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৪৯৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা ৩.৪৭ শতাংশ। তবে ২০১৯ সালের বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ১ হাজার ১৩৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ৮.৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

এদিকে ২০২০ সালে এককভাবে দেশের লাইফ বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৪৫৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের বছর ২০১৯ সালে এ সংগ্রহ ছিল ৯ হাজার ৫৯৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থাৎ লাইফ বীমাখাতে ২০২০ সালে প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ১৪৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা বা ১.৫০ শতাংশ। এর আগে ২০১৯ সালের লাইফ বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৬০৭ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ৬.৭৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

অন্যদিকে লাইফ বীমাখাতে ২০২০ সালে এককভাবে প্রিমিয়াম সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। এর আগের বছর ২০১৯ সালে এই সংগ্রহ ছিল ৪৭১৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ নন-লাইফ বীমাখাতে ২০২০ সালে প্রিমিয়াম সংগ্রহ কমেছে ৩৫২ কোটি টাকা বা ৭.৪৬ শতাংশ। এর আগে ২০১৯ সালের নন-লাইফ বীমাখাতে প্রিমিয়াম সংগ্রহ ৫৩২ কোটি টাকা বা ১২.৭১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। সংক্রমণ রোধে প্রথমে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে বিভিন্ন মেয়াদে ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। দেশের ইতিহাসে ২ মাস ৪ দিনের এই দীর্ঘ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মে থেকে খোলা হয় অফিস-আদালত। চালু হয় গণপরিবহনও।