নিয়ন্ত্রক সংস্থা সক্রিয় হলে লাভবান হবে বীমা কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক: নিয়ন্ত্রক সংস্থা যতো বেশি সক্রিয় হবে ততো বেশি বীমা কোম্পানিগুলো লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি বীমা প্রতিষ্ঠান মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক।

তিনি বলেন, ব্যাংক খাতকে সরকার যেভাবে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করে বীমা খাতকে সেভাবে পরিচালন করতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতির গতি আরও এগিয়ে যাবে। সরকার এখাত থেকে বড় অংকের রাজস্ব আয় করতে পারবে।

আজ বৃহস্পতিবার বীমা খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) ও মেঘনা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি আয়োজিত বীমা খাতের সাংবাদিকদের ভার্চুয়াল কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি গোলাম মওলার সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত সুমনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আইআরএফ সদস্যদের পাশাপাশি বীমা কোম্পানিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অংশ নেন।

আবু বকর সিদ্দিক বলেন, দেশে ব্যাংকের সংখ্যা ৬০টি। আর লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির সংখ্যা ৮০টি। এটি মনিটারিংয়ের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যত বেশি সক্রিয় হবে ততবেশি বীমা কোম্পানিগুলো লাভবান হবে।

কিন্তু দু:খের বিষয় বীমা খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নিজেই জনবল সংকটে রয়েছে। অধিকাংশ কর্মকর্তাই চুক্তিভিক্তিক। তাদের অনেকেরই বীমা খাতের ধারণা নেই।

ব্যাংক সরল অংকে চলে কিন্তু বীমা সরল অংকে চলে না উল্লেখ্য করে তিনি খাতটিকে এগিয়ে নিতে সরকারকে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।

আবু বকর বলেন, বাধ্যবধকতা ছাড়া কেউ নন-লাইফ বীমার আওতায় আসতে চায় না। শিল্প-করখানাসহ বড় বড় মার্কেটে বীমা করা নাই। তাদের সম্পদের অবশ্যই বীমা করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বীমার আওতায় রয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ৬০ শতাংশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বীমার বাইরে রয়েছে। বর্তমানে প্রিমিয়াম আছে ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা।

এদিকে সরকার বিশেষ গুরত্ব দিলে বীমা কোম্পানিগুলো ১৫ থেকে ১৬ হাজার কোটি টাকা প্রিমিয়াম সংগ্রহ করতে পারবে। এতে করে সরকারও বড় রাজস্ব পাবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মেঘনা ইন্স্যুরেন্সের এই মুখ্য নির্বাহী বলেন, বীমা দাবি আদায়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠান সার্ভে প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আইডিআরএ'তে আপিল করতে পারে।

বীমা খাতে আস্থা সংকট অনেক কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, আস্থা সংকট এক সময় ছিল। কিন্তু বর্তমানে আস্থা সংকট তেমন নেই। কোম্পানিগুলো নিয়মিত বীমা দাবি পরিশোধ করছে। এক সময় বীমার ওপর শিক্ষা ও দক্ষতার অভাব ছিল কিন্তু এখন এমনটা নেই।