ঈদের ছুটি শেষে ফের কর্মমুখর বীমার অফিসগুলো

আবদুর রহমান আবির: পবিত্র ঈদুল ফিতরের তিন দিনের ছুটি শেষে ফের কর্মমুখর হয়ে উঠেছে বীমা কোম্পানিগুলোর অফিস। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃদ্ধি করায় সীমিত পরিসরেই কার্যক্রম পরিচালনা করছে বীমাখাত। রাজধানীতে অবস্থিত বিভিন্ন বীমা কোম্পানির অফিসে খোঁজ নিয়ে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর রমজান মাস ২৯ দিন হিসেব করে ঈদুল ফিতরের ছুটি নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে করোনার পরিস্থিতির কারণে এ বছর মানুষকে কর্মস্থলে রাখতে একদিন পর অর্থাৎ ৩০ রমজান থেকে এই ছুটি নির্ধারণ করা হয়। সে হিসেবে ১৩, ১৪ ও ১৫ মে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে আজ রোববার (১৬ মে) খুলেছে বীমা কোম্পানিগুলোর অফিস।

এদিকে ১৪ এপ্রিল থেকে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। ফলে দেশের লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির কার্যক্রম সীমিত পরিসরেই পরিচালনা করতে হবে। জনবলের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ নিয়ে বীমা কোম্পানির প্রধান কার্যালয় ও কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ শাখা বেলা ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে।

এর আগে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা এবং বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখা এবং লাইভ বীমা কোম্পানির মেয়াদপূর্তি ও মৃত্যুদাবি যথাসময়ে পরিশোধের স্বার্থে সীমিত পরিসরে বীমার অফিস খোলার রাখার নির্দেশনা জারি করে আইডিআরএ।

গত ১৯ এপ্রিল জারি করা ওই নির্দেশনা অনুসারে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনবলের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ নিয়ে বেলা ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত প্রধান কার্যালয় ও কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ শাখার কার্যক্রম চালু রাখতে পারবে বীমা কোম্পানিগুলো। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানিকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনা-নেয়া করতে হবে।

এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) এম এম মনিরুল আলম তপন বলেন, সরকারি নির্দেশনা মেনে আমরা আফিস শুরু করেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেধে দেয়া জনবলের ২৫ শতাংশ নিয়ে আমাদের কার্যক্রম চলছে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই পরিস্থিত পরিবর্তন হবে এবং সবাইকে নিয়ে আমরা কাজ করতে পারব।

এ বিষয়ে জেনিথ ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম নুরুজ্জামান বলেন, এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি পেয়েছি সব মিলিয়ে তিন দিন। এর মধ্যে দু’দিনই ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। তবে এরপরও সরকারের নির্দেশনা মেনে আমাদের কর্মীরা কর্মস্থলেই ঈদ করেছেন। ছুটি শেষে আজ আমরা অফিস শুরু করেছি। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনা অনুসারেই চলছে আমাদের অফিস।