বীমা বিষয়ক বই ও লেখক পরিচিতি

পাপলু রহমান: বাংলাদেশে বীমার উপর প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা অত্যন্ত সীমিত; যা হাতে গোনা যায়। যে কজন লেখক বীমার উপর বই লেখার ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা ও অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে একেএম এহসানুল হক (এফসিআইআই) অন্যতম। এ পর্যন্ত বীমার বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখকের লেখা মোট আটটি মূল্যবান এবং প্রয়োজনীয় বই প্রকাশিত হয়েছে। আরও একটি বই বর্তমানে প্রকাশনার অপেক্ষায় রয়েছে।

লেখকের প্রকাশিত কয়েকটি বইয়ের তালিকা নিম্নে দেয়া হলো-

১. বেসিকস অব রিস্ক অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স
২. ফুটপ্রিন্টস অন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
৩. ইভোলুয়েশন অব ইনঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স
৪. ল্যায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স ইন ডিভরেন্ট কালারস অ্যান্ড শেডস
৫. প্রিন্সিপালস অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব মেরিন ইন্স্যুরেন্স
৬. ফ্যান্ডামেন্টালস অব ইন্স্যুরেন্স (সহ-লেখক প্রফেসর শিবলী রুবাইসাতুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
৭. প্রিন্সিপালস অব ইন্স্যুরেন্স
৮. গ্লোসারী অব ইন্স্যুরেন্স
৯. হ্যান্ডবুক অন নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স অ্যান্ড রি-ইন্স্যুরেন্স (প্রকাশনার অপেক্ষায়)

গুনগত মানের দিক থেকে প্রকাশিত বইগুলো দেশ বিদেশে স্বীকৃত ও সমানভাবে সমাদৃত হয়েছে। বইগুলো বেশিরভাগই সংযুক্ত আরব আমিরাতের (দুবাই) লিবার্টি প্রিন্টিং প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ‘ল্যায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স ইন ডিভরেন্ট কালারস অ্যান্ড শেডস’ বইটির জন্য লেখক দি চার্টার্ড ইন্সটিটিউট অব ইন্স্যুরেন্স, লন্ডন থেকে ফেলোশিপ (এফসিআইআই) ডিগ্রি অর্জন করেন।

লেখকের প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে পাঁচটি বইয়ের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে তুলে ধরা হলো-

১. ফুটপ্রিন্টস অন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট:


এই বইটি কর্পোরেট বিশ্ব ও ডোমেস্টিক লাইফের বিভিন্ন ঝুঁকি মোকাবেলার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা, সরঞ্জাম ও কৌশলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বইটি ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ছাত্রদের ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অনুশীলনকারীদের জন্য দরকারী হতে পারে।

২. ইভোলুয়েশন অব ইনঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স:


ইনঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্সের একটি দীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৯৫৪ সালে দ্য স্টিম বয়লার অ্যাসোসিয়েশন কোম্পানি এই বীমা পলিসির পরিসেবা শুরু করে। দীর্ঘ পথ পারি দিয়ে ইনঞ্জিনিয়ারিং ইন্স্যুরেন্স পলিসির বিকাশ ঘটেছে।

৩. ল্যায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স ইন ডিফরেন্ট কালারস অ্যান্ড শেডস:


ল্যায়াবিলিটি ইন্স্যুরেন্স একটি সুবিশাল, বৈচিত্র্যময় ও জটিল বিষয়। যেহেতু আমরা একটি সমাজে বাস করি কাজেই আমাদের অধিকার ও আইনি বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে জানা উচিত। এই বইটি আইনি দায় সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

৪. প্রিন্সিপালস অ্যান্ড প্র্যাকটিস অব মেরিন ইন্স্যুরেন্স:


মেরিন ইন্স্যুরেন্স সম্ভবত সবচেয়ে পুরাতন বীমা। এটি আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এবং করবে। মেরিন ইন্স্যুরেন্সের ফলে পুরো বিশ্বে মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিস্তার ঘটেছে।

৫. গ্লোসারী অব ইন্স্যুরেন্স:


গ্লোসারী অব ইন্স্যুরেন্স হলো বীমা শব্দকোষ। এতে প্রায় ৭০০ বীমার পরিভাষা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। বইটিতে ইংরেজি ও বাংলা (পাশাপাশি) লেখা হয়েছে। এটি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ফর প্রফেশনাল ডেভেলপমেন্ট (বিআইপিডি) কর্তৃক প্রকাশিত। এই বই বাংলাদেশে বীমাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

লেখকের প্রকাশিত বীমা বইগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন স্বনামধন্য ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের লাইব্রেরিতে স্থান পেয়েছে। যেগুলোর মধ্যে-

১. দ্য চার্টার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট, লন্ডন
২. ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব অস্ট্রেলিয়া অ্যান্ড নিউজিল্যান্ড
৩. ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব কানাডা
৪. চার্টার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব নাইজেরিয়া
৫. ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব বাহরাইন
৬. ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব কেনিয়া
৭. আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, ভারত
৮. ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব মাল্টা
৯. ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট অব মালয়েশিয়া

এ কে এম এহসানুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রায় চার দশক দুবাইয়ে অবস্থানকালে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিভিন্ন বীমা কোম্পানিতে চাকরি করেন। এ সময় তিনি লন্ডন থেকে ফেলো অব দি চাটার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট (এফসিআইআই), এসোসিয়েটস অব দি ইন্সটিটিউট অব রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (এআইআরএম) এবং এসোসিয়েট অব দি চাটার্ড ইন্সটিটিউট অব আরবিট্রেটরস (এসিআইআরবি) ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিয়োজিত।