বীমাখাতে আলোচিত ১০ ঘটনা

আবদুর রহমান আবির: আসছে নতুন বছর ২০২০। বিদায় নিচ্ছে পুরনো বছর ২০১৯। তবে বেশ কয়েকটি ঘটনা রেখে গেলো বছরটি। আলোচিত-সমালোচিত এসব ঘটনার রেশ হয়তো আগত বছরেও টানতে হবে বীমাখাতকে। তবে ফেলে আসা বছরে বীমাখাতের অর্জনও কম নেই। বীমাখাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। এগিয়ে এসেছে বীমা কোম্পানিগুলো। আর তাই উন্নয়নের পথে বেশ খানিকটা এগিয়েছে দেশের আর্থিক খাতের অন্যতম অংশীদার বীমা শিল্প। ২০১৯ সালে বীমাখাতে আলোচিত এমনই ১০টি ঘটনা ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

এক অ্যাকাউন্টেই বীমা কোম্পানির সব লেনদেন:

একক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দিয়ে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আদায়কৃত প্রিমিয়াম জমা করতে যেকোন তফসিলি ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট রাখতে পারবে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। কোনভাবেই একাধিক ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে না। প্রিমিয়াম জমার ক্ষেত্রে যদি একাধিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে যেকোন একটি রেখে বাকিগুলো ১৩ মে’র মধ্যে বন্ধ করে দিতে হবে। তবে পরবর্তীতে অতিরিক্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধের সময়সীমা ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পাশাপাশি ১০ জুলাইয়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ’কে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বলা হয়।

আইডিআরএ’র এ নির্দেশের পর ১৯ জুন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) এক সভায় ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বেসরকারি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। এছাড়া ৩টি একাউন্টে প্রিমিয়াম জমা সংক্রান্ত আইডিআরএ’র নির্দেশ বাস্তবায়নে একমত হন কোম্পানির মালিকরা। ১ আগস্ট থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর ২৪ জুন নন-লাইফ বীমাখাতে ১৫ শতাংশের বেশি কমিশন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মূখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরাম (বিআইএফ) । একই সঙ্গে আইডিআরএ’র সার্কুলার নং -নন-লাইফ ৬২/২০১৯ বাস্তবায়নের সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।

প্রবাসী কর্মীদের সুরক্ষায় বীমা পলিসি উদ্বোধন:

বিদেশগামী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষার জন্য বীমা পলিসি কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক এ বীমা পলিসি উদ্বোধন করা হয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে প্রবাসীকল্যাণ এবং বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

বিদেশগামী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মীদের সুরক্ষায় দু’ধরনের বীমা পরিকল্প চালু করে গত ২৫ নভেম্বর পরিপত্র জারি করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসী কর্মী বীমা নীতিমালা জারি করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । নীতিমালা অনুসারে প্রবাসী কর্মীদের লাইফ বীমা সুবিধা দিতে বলা হয়।

বীমা আইন সংশোধনের উদ্যোগ:

বীমাখাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করতে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকে বীমা আইন ২০১০ এর সাথে ব্যাংকিং আইন, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি আইন, কোম্পানি আইন এবং সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনসহ সংশ্লিষ্ট বিধি বিধানের সাংঘর্ষিক ধারাগুলো সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর বীমা কোম্পানিগুলোর চেয়ারম্যান ও মূখ্য নির্বাহীসহ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন, ইন্স্যুরেন্স ফোরাম এবং ইন্স্যুরেন্স সার্ভেয়র্স এসোসিয়েশনের কাছে প্রস্তাবনা আহবান করে আইডিআরএ। একই বছরের ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সংশোধনী প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে কোন জবাব পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কোন প্রস্তাব নেই বলে গণ্য করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

২৭ বীমা কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ:

পুঁজিবাজারের বাইরে ১৮টি লাইফ ও ৯টি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । অন্যথায় বীমা আইনের সংশ্লিষ্ট বিধান মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। গত ১৬ সেপ্টেম্বর পৃথক দু’টি চিঠিতে এ নির্দেশ দেয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, যেসব লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ প্রাথমিক গণপ্রস্তাব আহবানের মাধ্যমে শেয়ার বিক্রি করে দেশের পুঁজিবাজারে এখন পর্যন্ত তালিকাভুক্ত হয়ে শর্ত পূরণে সক্ষম হয়নি তারদেরকে আগামী ডিসেম্বর তথা ৩ মাসের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর ৭৮টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির চেয়ারম্যান ও মূখ্য নির্বাহীর সাথে মতবিনিময় সভায় ডিসেম্বরের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার নির্দেশ দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত না হলে লাইসেন্স স্থগিত করা হবে। এরপরও বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে না পারলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে মাস শুরু হওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।

১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস পালনের ঘোষণা:

প্রতিবছরের ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা করা হয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০১৯ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বীমা প্রতিষ্ঠানসমূহের চেয়ারম্যান এবং মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে এ ঘোষণা দেন। ২০২০ সালের ১ মার্চ থেকে জাতীয়ভাবে দিবসটি উদযাপন করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

ওই বৈঠকে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বীমা পেশায় চাকরি করতেন এটা আমাদের জন্য খুবই গর্বের বিষয়। বঙ্গবন্ধুর যোগদানের তারিখটিকেই আমরা বীমা দিবস হিসেবে পালন করবো। ১৯৬০ সালের ১ মার্চ বঙ্গবন্ধু আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদান করেন বলেও জানান বিআইএ প্রেসিডেন্ট।

বীমা ব্যবসায় প্রফেশনাল ডিগ্রিধারীদের সংগঠন বিআইপিএস’র যাত্রা শুরু:

বীমা ব্যবসায় প্রফেশনাল ডিগ্রিধারীদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স প্রফেশনাল সোসাইটি (বিআইপিএস)’ নামে নতুন সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই রাজধানীর দিলকুশা সেন্টারে সংগঠনটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। একে আজীজুল হক চৌধুরী, এফসিআইআই কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং একেএম এহসানুল হক, এফসিআইআই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।

বীমা কোম্পানির সম্পদ বিনিয়োগ প্রবিধানমালা প্রণয়ন:

চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর নন-লাইফ বীমাকারীর সম্পদ বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ প্রবিধানমালা ২০১৯ গেজেট আকারে প্রকাশ করে সরকার। এর পাঁচ দিন পর ১৯ নভেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয় লাইফ বীমাকারীর সম্পদ বিনিয়োগ প্রবিধানমালা ২০১৯।

নন-লাইফের প্রবিধানমালা অনুসারে, নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোন কোম্পানির অগ্রাধিকার বা সাধারণ শেয়ারে সম্পদের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে। এছাড়া সম্পদের ১৫ শতাংশ ডিবেঞ্চার ও মিউচ্যুয়ালে এবং ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউনিট ফান্ডে বিনিয়োগ করা যাবে।

অন্যদিকে লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদিত ও স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির অগ্রাধিকার বা সাধারণ শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ইউনিট ফান্ড এবং ডিবেঞ্চারে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত হারে মোট সম্পদের ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারবে।

ইউনিফাইড মেসেজিং প্লাটফর্ম (ইউএমপি) চালু:

উন্নত গ্রাহকসেবা, ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আনায়ন, এজেন্ট কর্তৃক প্রিমিয়াম আহরণে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বীমা কোম্পানিগুলোর আর্থিক অবস্থা সুদৃঢ় করার অংশ হিসেবে ইউনিফাইড মেসেজিং প্লাটফর্ম বা ইউএমপি চালু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ। ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি ইউএমপি বাস্তবায়নে বীমা কোম্পানিগুলোকে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।

নির্দেশনায় প্রতিটি বীমা কোম্পানির সকল পলিসি ও পলিসিহোল্ডার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইউএমপি বাস্তবায়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান দুয়ার (ডিওইআর) সার্ভিস লিমিটেডকে সরবরাহ করতে বলা হয়। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম সংগ্রহের সকল তথ্য ইউএমপি পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশ দেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

এসএমএস সার্ভিসের জন্য বীমা কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি পলিসির বিপরীতে প্রতি ৩ মাসে ৮ টাকা হারে বছরে খরচ দিতে হবে ৩২ টাকা। এর সাথে ভ্যাট-ট্যাক্স মিলিয়ে প্রতিটি গ্রাহককে মেসেজ পাঠাতে বছরে খরচ হবে ৪০ টাকা। সে হিসাবে ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির বছরে খরচ দাঁড়াবে ৬০ কোটি টাকা।

জলবায়ু ভিত্তিক ক্ষুদ্রবীমা নিয়ে ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলন:

২০১৯ সালের ৫, ৬ ও ৭ নভেম্বর জলবায়ু ভিত্তিক ক্ষুদ্রবীমা নিয়ে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন। বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ), মিউনিক রি ফাউন্ডেশন ও মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স নেটওয়ার্ক যৌথভাবে এ সম্মেলন আয়োজন করে। ইনক্লুসিভ ইন্স্যুরেন্স ফর ইমার্জিং মার্কেটস: কোপিং উইথ ক্লাইমেট রিস্ক শীর্ষক এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের ৪০টির বেশি দেশ থেকে ৪ শতাধিক অংশগ্রহীতা ও বীমা বিশেষজ্ঞ এতে আলোচনায় অংশ নেন।

ভিডিও ক্লিপে বীমার প্রচার:

বীমাখাত উন্নয়নের প্রধান বাধা ইমেজ সংকট দূর করে বীমার পেনিট্রেশন বাড়াতে বছরটিতে আরেকটি নতুন উদ্যোগ নেয় বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) । ২০১৯ সালের ৩ জুলাই বীমা কোম্পানিগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানায়, আগামী ৭ আগস্ট, ২০১৯ এর মধ্যে বীমা ও বীমা পরিকল্পসমূহ সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা এবং দাবি পরিশোধ বিষয়ক ভিডিও ক্লিপ তৈরি করতে হবে। কোম্পানিগুলোর তৈরি এসব ভিডিও স্ব স্ব ওয়েবসাইটে প্রদর্শন করতে হবে।

বাধ্যবাধকতা আরোপের পর বীমা কোম্পানিগুলো নিজস্ব ওয়েবসাইটে ভিডিওগুলো আপলোড করে একই বছরের ২৪ অক্টোবর থেকে আইডিআরএ’কে দেখানো শুরু করে। পৃথক ৭টি বৈঠকে ৭৮টি লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানির এসব ভিডিও যাচাই করে কর্তৃপক্ষ। তবে বেশ কয়েকটি কোম্পানি ভিডিও তৈরি করতে না পারায় এবং কিছু কোম্পানির ভিডিও মান ভালো না হওয়ায় ২০২০ সালের জানুয়ারির মধ্যে তাদেরকে ভিডিও ক্লিপ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।