বীমাখাতের উন্নয়নে সংস্কার ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তা

এ কে এম এহসানুল হক:

দেশের অর্থনীতিতে বীমাখাত ব্যাংকিংখাতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বীমাখাতের উন্নয়ন ছাড়া দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন সম্ভব নয়। সঠিক প্রতিপালন এবং পরিচর্যার মাধ্যমে বীমাখাতকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। এর কোন বিকল্প বা সহজতর পন্থা নাই।

বাংলাদেশের বীমা শিল্প নানাবিধ সমস্যায় ভুগছে। গ্রাহকসেবা বীমা কোম্পানির মূখ্য উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নানা ধরণের অনিয়মের কারণে বীমাগ্রহীতার স্বার্থ রক্ষা বিঘ্নিত হচ্ছে, যা বীমা নীতির পরিপন্থী।

বীমা আইন সঠিক এবং সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ এবং প্রয়োজনে নূতন বীমা আইন বা নিয়ম তৈরীর ব্যাপারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)'র হাত শক্ত করতে হলে চাই দক্ষ এবং পর্যাপ্ত জনবল। এ ব্যাপারে সরকারের উচিৎ বীমা কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করা।

পাশের দেশ ভারতের বীমা কর্তৃপক্ষ বীমা আইন প্রয়োগের ব্যাপারে অনমনীয় এবং আপোষহীন। বীমা কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ি হওয়ার কারণে ভারতের বীমাখাত এখন অতীতের চেয়ে অধিক সুসংহত এবং সুশৃঙ্খল।

গত প্রায় পাঁচ দশকে বাংলাদেশের বীমা শিল্পের যে পরিমাণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বীমা কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কোমর বেঁধে কাজ করার সময় এসেছে।

বাংলাদেশের বীমা শিল্পকে উচ্চ থেকে উচ্চতর এবং সম্মানজনক স্থানে নিয়ে যেতে হলে বীমা সংষ্কার ত্বরান্বিত করতে হবে। এ ব্যাপারে বিলম্ব করা সমুচিত হবে না।

লেখক: এ কে এম এহসানুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রায় চার দশক দুবাইয়ে অবস্থানকালে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিভিন্ন বীমা কোম্পানিতে চাকরি করেছেন।

এ সময় তিনি লন্ডন থেকে ফেলো অফ দি চাটার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট (এফসিআইআই), এসোসিয়েটস অফ দি ইন্সটিটিউট অফ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (এআইআরএম) এবং এসোসিয়েট অফ দি চাটার্ড ইন্সটিটিউট অফ আরবিট্রেটরস (এসিআইআরবি) ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইন্স্যুরেন্সের ওপর এ পর্যন্ত লেখকের অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশে এবং বিদেশে সমাদৃত। পেশায় লেখক একজন চাটার্ড ইন্স্যুরার। বর্তমানে তিনি সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিয়োজিত।

ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি'র পাঠকদের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে বীমার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছেন এ কে এম এহসানুল হক।