পুনর্বীমা কোম্পানির সাথে বীমা গ্রাহকের সম্পর্ক

এ কে এম এহসানুল হক:

আর পাঁচ-দশটি চুক্তির মতো বীমা পলিসি ক্রয় ও বিক্রয় এক ধরনের চুক্তি। বীমা চুক্তি প্রধানত দু’পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত হয়। যেমন- বীমা কোম্পানি এবং বীমা গ্রাহক (প্রাথমিক চুক্তি), প্রধান বীমা কোম্পানি (প্রাথমিক বীমা কোম্পানি) এবং পুনর্বীমা কোম্পানির মধ্যে চুক্তি (মধ্য চুক্তি) । এই দু’টি চুক্তি আইনগত দিক থেকে সম্পূর্ণ পৃথক এবং ভিন্ন। 

প্রধান বা প্রাথমিক বীমা কোম্পানি এবং পুনর্বীমা কোম্পানির চুক্তির সাথে আইনগতভাবে বীমা গ্রাহকের কোন প্রকার সম্পর্ক নেই। এটি প্রাথমিক বীমা কোম্পানি এবং পুনর্বীমা কোম্পানির মধ্যে সম্পাদিত একটি অভ্যন্তরীন চুক্তি।

বৈধ দাবির বেলায় প্রধান বীমা কোম্পানি কোন কারণে পুনর্বীমার অংশ (পুনর্বীমার ক্ষেত্রে) উদ্ধার করতে ব্যর্থ হলে আইনগত দিক থেকে বীমা গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুন্ন হবার কোন যোগার নাই।

পুনর্বীমা কোম্পানির নিকট থেকে পুনর্বীমার টাকা উদ্ধার করতে অসমর্থ হলে প্রাথমিক চুক্তির ভিত্তিতে বীমা কোম্পানি আইনগত দিক থেকে বীমা গ্রাহককে তার পুরো দাবি নিষ্পত্তি করতে বাধ্য। এ বিষয়ে সংশয় বা সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

বীমা জগতে এমন অনেক দৃষ্টান্ত রয়েছে যেখানে পুনর্বীমা কোম্পানির আর্থিক অসচ্ছলতা বা দেউলিয়ার কারণে প্রধান বীমা কোম্পানি পুনর্বীমার টাকা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে।

পুনর্বীমার টাকা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে বা অজুহাতে বীমা গ্রাহকের দাবি পরিশোধ না করা এক গুরুত্বর অপরাধ। যা প্রতারণার সামিল।

লেখক: এ কে এম এহসানুল হক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিসহ মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। প্রায় চার দশক দুবাইয়ে অবস্থানকালে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন বিভিন্ন বীমা কোম্পানিতে চাকরি করেছেন।

এ সময় তিনি লন্ডন থেকে ফেলো অফ দি চাটার্ড ইন্স্যুরেন্স ইন্সটিটিউট (এফসিআইআই), এসোসিয়েটস অফ দি ইন্সটিটিউট অফ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (এআইআরএম) এবং এসোসিয়েট অফ দি চাটার্ড ইন্সটিটিউট অফ আরবিট্রেটরস (এসিআইআরবি) ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইন্স্যুরেন্সের ওপর এ পর্যন্ত লেখকের অনেকগুলো বই প্রকাশিত হয়েছে, যা দেশে এবং বিদেশে সমাদৃত। পেশায় লেখক একজন চাটার্ড ইন্স্যুরার। বর্তমানে তিনি সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় নিয়োজিত।

ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি'র পাঠকদের প্রয়োজনের দিকে লক্ষ্য রেখে বীমার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে লিখেছেন এ কে এম এহসানুল হক।