একচ্যুয়ারি নিয়োগে আইডিআরএ’র নির্দেশ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে

এ কে এম এহসানুল হক, এফসিআইআই: জীবন বীমা কোম্পানিগুলোকে স্বচ্ছ এবং সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি একচ্যুয়ারি নিয়োগ সংক্রান্ত সার্কুলার নং লাইফ-০২/২০১২ জারি করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) ।

সার্কুলারে বলা হয়, প্রত্যেক লাইফ বীমা কোম্পানিতে একচ্যুয়ারিয়াল বিভাগ করা বাধ্যতামূলক এবং একচ্যুয়ারি বিজ্ঞানে অধ্যয়নরত নূন্যতম একটি পার্ট বা অংশে উত্তীর্ণ এবং একচ্যুয়ারিয়াল কাজে ধারণা সম্পন্ন ছাত্র/ছাত্রীকে উক্ত বিভাগের দায়িত্ব প্রদান করতে হবে।

একচ্যুয়ারি নিয়োগের এ নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য সময়সীমাও বেধে দেয়া হয় ওই সার্কুলারে। তাতে বলা হয়, ৩০ মার্চ, ২০১২ এর মধ্যে এ নির্দেশনা কার্যকর করতে হবে। নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির তৎকালীন চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ একচ্যুয়ারি এ সার্কুলার জারি করেন।

কিন্তু সার্কুলার জারির পর দীর্ঘ ৭ বছর অতিক্রান্ত হলেও খুব স্বল্প সংখ্যক লাইফ বীমা কোম্পানি ওই নির্দেশ পালন করতে সক্ষম হয়েছে। আর বেশিরভাগ বীমা কোম্পানি ওই নির্দেশনা অমান্য করেছে এবং বর্তমানেও করছে।

দেশে একচ্যুয়ারির অপ্রতুলতা অনুধাবন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মাধ্যমে মাস্টার্স অব একচ্যুয়ারিয়াল সায়েন্স (এমএএস) প্রোগ্রাম চালু করে। যাতে করে কোম্পানিগুলোতে আলাদাভাবে একচ্যুয়ারিয়াল বিভাগ চালু করতে সুবিধা হয়।

কিন্তু পরিতাপের বিষয় বীমা কোম্পানিগুলো এমএএস ডিগ্রি অর্জনকারীদের যথাযথভাবে কাজে লাগাচ্ছে না। এ ছাড়াও একচ্যুয়ারি ডিগ্রিধারীদের অনেককে কোম্পানির সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিয়োগ না দিয়ে অন্য বিভাগে নিয়োগ দিচ্ছে। এতে করে তাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় আইডিআরএ’র উচিত হবে বীমা কোম্পানিগুলোকে একচ্যুয়ারি বিভাগ খোলা এবং যোগ্যদের সেখানে নিয়োগ দেয়ার বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়নে পুনরায় নির্দেশ প্রদান করা। অন্যথায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।