2779

03/29/2024

বৈরুত বিস্ফোরণে ৩ বিলিয়ন ডলার লোকসান বীমাখাতে

প্রকাশ: ৮ আগষ্ট ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: লেবাননের বৈরুত বন্দরে গুদাম বিস্ফোরণে বীমাখাতে লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার হতে পারে, যা ২০১৫ সালে চীনের তিয়ানজিন বন্দরে বিস্ফোরণের মতো হয়েছে। বীমাশিল্প সূত্র ও বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

গত মঙ্গলবার বৈরুতের ইতিহাসের বৃহত্তম এই বিস্ফোরণে ১৫৪ জন মারা যায়, শহরের বেশ কিছু অংশ ধ্বংস করে দেয় এবং বিশাল অঞ্চলজুড়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। গুদামে মজুদ অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে কর্তৃপক্ষ বলছে৷

দেশটির কর্মকর্তারা বলেছেন, এই বিস্ফোরণের ফলে ১৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত এসব সম্পদের বেশিরভাগই বীমাকৃত নয়।

চীনের তিয়ানজিন বন্দর বিস্ফোরণে বীমাখাতে লোকসান অনুমান করেছিল সুইস রি; যাতে কমপক্ষে ১১৬ জন নিহত হয়েছিল এবং আড়াই থেকে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়।

ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি এএম বেস্ট’র পরিচালক (অ্যানালিটিক্স) ঘিসালাইন লে ক্যাম বলেছেন, তিয়ানজিন বিস্ফোরণের সাথে বৈরুত বিস্ফোরণের তুলনা করলে বীমাখাতের উল্লেখযোগ্য লোকসান দেখতে পাবেন।

ইস্যুটির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বীমা শিল্পের একটি সূত্র বৈরুত বিস্ফোরণের জন্য বীমা ক্ষতি প্রায় ২-৩ বিলিয়ন ডলার বলে অনুমান করেছেন।

এই দুর্ঘটনায় সম্পত্তির ক্ষতি এবং ব্যবসায়ের ব্যাঘাতের জন্য শুধুমাত্র বন্দরের বীমা দাবিই উত্থাপন হতে পারে শত শত মিলিয়ন ডলার।

মিউনিখ রি বলেছে যে, এই সপ্তাহে বিস্ফোরণের ফলে বড় বীমা দাবি উত্থাপন হতে পারে, তবে প্রতিষ্ঠানটি এখনও এই ক্ষয়-ক্ষতির অনুমান করতে পারেনি।

লেবাননে ব্যবসা পরিচালনাকারী দু’টি বড় আন্তর্জাতিক বীমা প্রতিষ্ঠান এএক্সএ এবং অ্যালিয়ানজও বলেছে যে, খুব শিগগিরই তারা এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে পারবে।

বন্দরে সঞ্চিত কয়েক হাজার আমদানি করা গাড়ির মূল্য সংযুক্ত হওয়ায় আংশিকভাবে তিয়ানজিনে লোকসানের পরিমাণ বেশি ছিল।

বৈরুতে বিস্ফোরণটি লেবাননের একমাত্র বৃহৎ শস্য গুদামকে ধ্বংস করেছে। আনুমানিক ৬ মিলিয়ন মানুষের দেশ লেবানন তার প্রয়োজনী প্রায় সমস্ত গম আমদানি করে থাকে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে দ্বিতীয় আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, বৈরুত বন্দরে সঞ্চিত পণ্যের ক্ষয়ক্ষতি সম্ভবত তিয়ানজিনের তুলনায় কম হলেও এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হবে।

বৈরুত বন্দর বিস্ফোরণে রেস্তোঁরা ও হোটেলসহ আবাসিক ও বাণিজ্যিক সম্পত্তিও ধ্বংস হয়ে গেছে, সূত্রের খবর অনুযায়ী সম্ভবত বীমা দাবির বেশিরভাগ অংশই আসবে এসব ক্ষয়ক্ষতি থেকে।