2796

04/19/2024

করোনায় বীমা দাবি নিয়ে উদ্বেগে ভারতের নন-লাইফ বীমাখাত

প্রকাশ: ১৮ আগষ্ট ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের কারণে উত্থাপিত বীমা দাবি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের নন-লাইফ বীমাখাত। দেশটিতে একদিকে বাড়ছে বীমা দাবির সংখ্যা, অন্যদিকে চিকিৎসা খরচ বেশি নিচ্ছে হাসপাতালগুলো। এ অবস্থায় আদালতের দারস্থ হওয়ার কথা ভাবছে দেশটির বীমা কোম্পানিগুলো। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস এ খবর দিয়েছে।  

নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো গত ১৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৮শ’ কোটি রুপির ১ লাখ ১৫ হাজারের বেশি বীমা দাবি পেয়েছে। এদিকে করোনা ভাইরাস চিকিৎসার জন্য বীমাকৃত ব্যক্তি এবং বীমাহীন ব্যক্তির কাছ থেকে হাসপাতালের নেয়া ভিন্ন ভিন্ন খরচের হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। হাসপাতালগুলো করোনা আক্রান্ত বীমা গ্রাহকের চিকিৎসা খরচ বেশি নিচ্ছে।

এ অবস্থায় দেশটির জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কাউন্সিল এ সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে করোনা আক্রান্ত সমস্ত রোগীর জন্য চিকিৎসা খরচের অভিন্ন হার চেয়ে আবেদন করবে। বীমাশিল্পের একজন প্রবীণ কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা বেশ কয়েকটি উদাহরণ পেয়েছি যেখানে হাসপাতালগুলো বীমা না থাকা রোগীর তুলনায় স্বাস্থ্য বীমা পলিসি সম্পন্ন রোগীর খরচ বেশি নিচ্ছে। যদি স্বাস্থ্য বীমা দাবি বাড়তে থাকে তবে পরের বছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে প্রিমিয়াম বাড়তে পারে।

নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মতে, হাসপাতালগুলো কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার জন্য বীমা গ্রাহকের পুরো বীমা অংক প্রায় শেষ করে দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কোন ব্যক্তির ৫ লাখ টাকা বীমা অংকের স্বাস্থ্য বীমা পলিসি থাকে এবং করোনা ভাইরাস চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন, তাহলে হাসপাতালগুলো তাদের জন্য ৪ লাখ ৬০ হাজার রুপি চার্জ করে। তবে স্বাস্থ্য বীমা ব্যতীত কোন ব্যক্তি যদি একই চিকিৎসার জন্য যান তবে তার চেয়ে অনেক কম চার্জ করা হয়।

কোভিড-১৯ আক্রান্তের কারণে দেশটিতে উত্থিত বীমা দাবির পরিমাণ নিয়মিতভাবে বাড়ছে। জুলাইয়ের শেষ অবধি নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো ১ হাজার ৩শ’ কোটি রুপির ৮০ হাজারের বেশি বীমা দাবি গ্রহণ করেছে। নন-লাইফ বীমা শিল্পের কর্মকর্তাদের মতে, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু ও দিল্লির মতো রাজ্যগুলোতে বেশি সংখ্যক বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কাউন্সিলের পরিসংখ্যান অনুসারে, ১৪ আগস্ট পর্যন্ত মহারাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ দাবি এসেছে, যার পরিমাণ ৪৮ হাজার। তামিলনাড়ু এবং দিল্লিতে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৬শ’ এবং ১১ হাজার বীমা দাবি এসেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মতে, এখানে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের সক্রিয় ঘটনা ছিল ৬ লাখ ৭৬ হাজার। আরো ১৯ লাখ ১৯ হাজার সুস্থ হয়েছে এবং ৫০ হাজার ৯২১ জন মারা গেছে।