2799

04/16/2024

পাকিস্তান বিমান বিধ্বস্তে নিহত যাত্রী প্রতি বীমা দাবি ১০ মিলিয়ন রুপি

প্রকাশ: ২০ আগষ্ট ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: পাকিস্তানে বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে ১০ মিলিয়ন রুপি বীমা দাবি পরিশোধ করতে যাচ্ছে দেশরটির ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। গত ২২ মে বন্দর নগরী করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পাশে ৯৯ আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের একটি বিমান।

দুর্ঘটনা কবলিত ওই বিমান থেকে ৯৭ জন মৃত এবং ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স (পিআইএ)’র বিমানটি লাহোর থেকে করাচিতে যাচ্ছিল। বীমা কোম্পানিটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় পিআইএ’র প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ৫ মিলিয়ন রুপিসহ সংস্থাটির পুরো বহরকে বীমা করেছিল।

তবে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বিমান সংস্থাটি ২০১২ সালের এয়ার অ্যাক্টে অনুমোদিত বীমা দাবির সর্বোচ্চ সীমা হিসেবে দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের প্রত্যেক যাত্রীদের জন্য ৫ মিলিয়ন রুপির পরিবর্তে ৫০ মিলিয়ন রুপি দিতে ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিকে বাধ্য করতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে বিধ্বস্ত বিমানের ৯৭ যাত্রী নিহত হওয়ার ছাড়াও দুর্ঘটনাস্থলে থাকা তিনজন মেয়ে ওই আগুনে দগ্ধ হন। যাদের মধ্যে একজন পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পিআইএ জানিয়েছে যে, তারা নিহত মেয়ের পরিবারকে এক মিলিয়ন রুপি এবং আহত দুই মেয়ের প্রত্যেককে ৫ লাখ রুপি দেয়া হয়েছে।

দুর্ভাগ্যের শিকার এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের বিমানটি ১৯.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বীমা করা হয়েছিল। বিমানটি পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের মালিকানাধীন ছিল না, এটি ইজারা নেয়া হয়েছিল। বিমানটির মালিক ছিল আয়ারল্যান্ডের সেলেস্টিয়াল এভিয়েশন ট্রেডিং ৩৪ লিমিটেড এবং এই পরিমাণ বীমা দাবি পেতে পারে বিমানটি।

পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র আরো জানিয়েছেন, রেকর্ডের ভিত্তিতে সমস্ত নিহত যাত্রীর উত্তরসূরিদের কাছে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। এরইমধ্যে প্রাথমিক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বীমার অর্থ তাড়াতাড়ি পরিশোধের জন্য ভুক্তভোগীদের আইনী উত্তরাধিকারীর কাছ থেকে অভিভাবকত্বের শংসাপত্র এবং দ্রুত প্রক্রিয়া সম্পন্নের অপেক্ষায় রয়েছে পিআইএ। (সূত্র: ডন)