2800

04/19/2024

৩২টির মধ্যে ১৬ বীমা কোম্পানিতে নেই সিইও

প্রকাশ: ২০ আগষ্ট ২০২০

আবদুর রহমান আবির: দেশের বেসরকারি খাতের ৩২টি লাইফ বীমা কোম্পানির ১৬টিতেই নেই মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) । শীর্ষ এ পদটিতে কোন ব্যক্তিকে ভারপ্রাপ্ত বা চলতি দায়িত্ব দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এসব কোম্পানি। এ অবস্থা চলছে বছরের পর বছর ধরে। আবার ২০১৩ সালে নিবন্ধন পাওয়া কোন কোন কোম্পানিতে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই মূখ্য নির্বাহী নিয়োগ দেয়া হয়নি। অথচ মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সর্বোচ্চ ৬ মাস শূন্য থাকলে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রাখা হয়েছে বীমা আইন ২০১০ এ।  তবে মূখ্য নির্বাহীর পদে ৭ বছর শূন্য থাকার নজির থাকলেও প্রশাসক নিয়োগের কোন উদ্যোগ নেয়নি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নেই এমন কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স, স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বীমা কোম্পানির মূল চালিকাশক্তি। সর্বোচ্চ এ পদ শূন্য রাখা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এক্ষেত্রে আইনের যে বিধান রয়েছে তা পরিপালন না করাও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বীমাখাতে শৃঙ্খলা ও উন্নয়নের স্বার্থে কোন কোম্পানি ৬ মাসের মধ্যে মূখ্য নির্বাহী নিয়োগ দিতে না পারলে বীমা আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

অভিযোগ রয়েছে, কোম্পানির কার্যক্রম নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও অনৈতিক সুবিধা হাতিয়ে নিতে নিজেদের পছন্দের লোককেই মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে চায় পরিচালনা পর্ষদ। তাই তারা নিজেদের পছন্দের লোকদের মধ্য থেকে মূখ্য নির্বাহী পদের যোগ্যতা সম্পন্ন লোক না পাওয়ায় অযোগ্য লোকদেরকে নানা কৌশলে চলতি দায়িত্ব দিয়ে কোম্পানি পরিচালনা করে।

ইন্স্যুরেন্সনিউজবিডি’র অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স। কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু মুসা সিদ্দিকী বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালন করছেন।

২০১৭ সালের ১১ মার্চ এনআরবি গ্লোবাল লাইফের মূখ্য নির্বাহী পদ থেকে অব্যহতি নেন অমল কান্তি দাস। এরপর থেকেই মূখ্য নির্বাহী শূন্য হয়ে পড়ে বেসরকারি এই লাইফ বীমা কোম্পানি। পরবর্তীতে কামরুল হাসানকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আইডিআরএ’র কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়। তবে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর কাজে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন কামরুল হাসান।

এ অবস্থায় এনআরবি গ্লোবাল লাইফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু মুসা সিদ্দিকীকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বভার দেয়া হয়। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ মে তাকে ৩ বছরের জন্য মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে আইডিআরএ’র অনুমোদন চায় কোম্পানি কর্তৃপক্ষ। তবে অদ্যবধি তিনি অনুমোদন পাননি।

এদিকে এনআরবি গ্লোবাল লাইফ কর্তৃপক্ষ মোহাম্মদ আবু মুসা সিদ্দিকীকে নিয়োগ দেয় দু’বছরের চুক্তিতে। চলতি বছরের জুনে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও কোম্পানির ওয়েবসাইটে মোহাম্মদ আবু মুসা সিদ্দিকীকেই মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দেখাচ্ছে এনআরবি গ্লোবাল লাইফ কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে আবু মুসা সিদ্দিকী জানিয়েছেন, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ আমাকে দু’বছরের চুক্তিতে নিয়োগ করেছিল। গত জুনে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এখন আমি কোম্পানির মূখ্য নির্বাহীর দায়িত্বে নেই। তবে পরামর্শক হিসেবে এখনো প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আছি। নতুন মূখ্য নির্বাহী নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

২০১৩ সালের ৩০ জুলাই অনুমোদন লাভের পর থেকেই মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়া বীমা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে চার্টার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স  বর্তমানে কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম জিয়াউল হক মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল তিনি কোম্পানিটিতে যোগদান করে এই দায়িত্ব নেন।

এর আগে কোম্পানিটির ডিএমডি এমদাদ উল্লাহ মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যক্রম চালিয়ে নেন। আর ২০১৫ সাল থেকে মূখ্য নির্বাহীর চলতি দায়িত্বে ছিলেন শহিদুল ইসলাম। মূখ্য নির্বাহী নিয়োগের সব শর্ত পূরণ না করায় তিনি অনুমোদন পাননি। ২০১৪ সালের ১৪ এপ্রিল মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন কামরুল হাসান। তবে কিছু দিন পর তিনি কোম্পানিটি থেকে পদত্যাগ করেন।

এ বিষয়ে এস এম জিয়াউল হক বলেন, গেলো বছরের এপ্রিলে এখানে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করি এবং আমাকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। সিইও নিয়োগ অনুমোদনের জন্য কর্তৃপক্ষ আবেদন জানানো হয়েছে। তারা (আইডিআরএ) আরো কিছু কাগজপত্র চেয়েছে, আগামী বোর্ড মিটিংয়ের পর সেগুলো জমা দেয়া হবে।

ট্রাস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ শূন্য হয়েছে চলতি বছরের মার্চে। এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে বীমা কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে অনুমোদন লাভ করেন মো. মাহফুজুল বারী চৌধুরী। ২০২০ সালের মার্চে তার মেয়াদ শেষ হয়েছে।

বর্তমানে ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে রয়েছেন মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। ইন্স্যুরেন্সনিউবিডি’কে তিনি বলেন, সিইও নিয়োগের জন্য আমার কাগজপত্র নিয়ন্ত্রক সংস্থায় দাখিল করা হয়েছে। নিয়োগ অনুমোদনের বিষয়টি এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

চলতি বছরের ২০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন মজুমদার। এরপর থেকেই শূন্য রয়েছে বীমা কোম্পানিটির এই শীর্ষ পদ। বোরহান উদ্দিন মজুমদার ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন।

বর্তমানে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চলতি দায়িত্বে রয়েছেন কোম্পানিটির ডিএমডি মোহাম্মদ সাইদুল আমিন। ২৭ জুলাই থেকে তাকে সিইও’র চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফের হেড অব এইচআর সালাহ উদ্দিন।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল এম এ নাসের মৃত্যুবরণ করেন চলতি বছরের ২১ জুন ভোররাত ৩টা ৪৫ মিনিটে। এরপর থেকেই শূণ্য রয়েছে বীমা কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী পদ। ২০১১ সালের জানুয়ারিতে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সে যোগদান করেন জামাল এম এ নাসের।

বর্তমানে ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কোম্পানিটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর (ডিএমডি) মোহাম্মদ কাজিম উদ্দিন। মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা জামাল এম এ নাসেরের মৃত্যুর পর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তাকে এ দায়িত্ব প্রদান করেন বলে জানা গেছে।

আলফা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদ শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট। কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আপেল মাহমুদ চাকরি ছেড়ে দিয়ে প্রাইম ইসলামী লাইফে যোগদান করলে শূন্য হয়ে পড়ে সিইও পদ। বর্তমানে নুরে আলম সিদ্দিকী (অভি) কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে রয়েছেন।

গোল্ডেন লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে রয়েছেন কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এডি.এমডি) আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী। এর আগে কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন নুর মোহাম্মদ ভূঁইয়া। তিনি ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ ছেড়ে দেন। তখন থেকেই শূণ্য হয়ে আছে গোল্ডেন লাইফের মূখ্য নির্বাহীর পদ।

একই দিনে অর্থাৎ ২০২০ সালের ২২ জানুয়ারি কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহীর চলতি দায়িত্ব নেন আমজাদ হোসেন খান চৌধুরী। এর আগে ২০১৯ সালের মে মাসে তিনি এডি.এমডি হিসেবে গোল্ডেন লাইফে যোগদান করেন। আমজাদ হোসেন বলেন, মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে আমার নিয়োগ অনুমোদনের জন্য আইডিআরএ’তে আবেদন করা হয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এখনো অনুমোদন পাইনি।

২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মো. জাকির হোসেন পদত্যাগ করলে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শূন্য হয়ে পড়ে স্বদেশ লাইফ ইন্স্যুরেন্স। এরপর কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল মান্নানকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর স্বদেশ লাইফের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দেন আবদুল মান্নান।

এরপর কোম্পানির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন শাহিনকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়। আর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইখতিয়ার উদ্দিন শাহীনকে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে কোম্পানির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে আইডিআরএ’র কাছে আবেদন জানায় স্বদেশ লাইফ।

সানফ্লাওয়ার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সামছুল আলম পদত্যাগ করেন ২০২০ সালের ১৪ মার্চ। এরপর কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব পালন রফিক আহমেদ। বর্তমানে কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন নূর মো. ভূঁইয়া। তবে এখন পর্যন্ত তিনি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাননি বলে জানা গেছে।   

২০১৯ সালের ২ অক্টোবর পদত্যাগ করেন বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল আমিন। এরপর থেকেই মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শূন্য হয়ে পড়েছে বীমা কোম্পানিটি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে যোগদান করেন এম সোলাইমান হোসেন। বর্তমানে তিনি কোম্পানিটির শীর্ষ এ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম শরিফুল ইসলামের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৩ জুন। এরপর থেকেই শূন্য পড়ে আছে বীমা কোম্পানিটির শীর্ষ এ পদ। তবে কোম্পানিটির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে বর্তমানে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে আমি এই কোম্পানিতে যোগদান করেছি। বর্তমানে আমাকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আমার কাগজপত্র এখনো জমা দেয়া হয়নি। সম্ভবত আরো কিছু দিন পরে এ পদক্ষেপ নেবে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

যমুনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বিশ্বজিৎ কুমার মণ্ডলের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল। এরপর থেকে মূখ্য নির্বাহী শূন্য হয়ে আছে বেসরকারি এ বীমা প্রতিষ্ঠান। তবে কোম্পানিটির চীফ মার্কেটিং অফিসার (অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক) কামরুল হাসান খন্দকারকে চলতি বছরের ৮ এপ্রিল থেকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

পদ্মা ইসলামী লাইফের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা চৌধুরী মো. ওয়াসিউদ্দিন পদত্যাগ করেন ২০১৯ সালের ৩০ মে। এরপর থেকে মূখ্য নির্বাহী শূন্য রয়েছে বীমা কোম্পানিটি। তবে চৌধুরী মো. ওয়াসিউদ্দিনের পদত্যাগের পর ২০১৯ সালের ৩১ মে থেকে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্ব পালন করছেন মোর্শেদ আলম সিদ্দিকী। তার নিয়োগ অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থায় আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ডা. কিশোর বিশ্বাস। চলতি বছরের ২১ জুন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বীমা কোম্পানিটির ভারপ্রাপ্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এর আগে কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন মো. ইউসুফ আলী মৃধা।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত চন্দ্র আইচের মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের জুনে। এরপর কোম্পানিটির মূখ্য নির্বাহীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মীর রাশেদ বিন আমান। চলতি বছরের ২৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে সোনালী লাইফ ছাড়েন অজিত চন্দ্র আইচ।

আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের নব প্রতিষ্ঠিত জীবন বীমা কোম্পানি আস্থা লাইফ ইন্স্যুরেন্স আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে চলতি বছরের ২৩ জুন। নতুন এ কোম্পানিটিতেও এখন পর্যন্ত মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্ত নিয়োগ দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য ড. এম মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি, বরং কল কেটে দিয়েছেন। এমনকি এসএমএস পাঠানো হলেও সাড়া দেননি ড. এম মোশাররফ।