2839

03/29/2024

করোনা বীমা দাবি ৩ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ভারতে

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক: কোভিড-১৯ তথা করোনা বীমা দাবি ৩ হাজার কোটি রুপি ছাড়িয়েছে ভারতে। এরইমধ্যে ১ হাজার ২৬০ কোটি রুপির ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি বীমা দাবি নিষ্পত্তি করেছে দেশটির নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো। গত ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ৭ হাজার বীমা দাবি পেয়েছে কোম্পানিগুলো। দেশটির বীমাশিল্পের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস।

এদিকে ভারতের বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি এন্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আইআরডিএ) জানিয়েছে, চলতি অর্থ বছরের আগস্ট পর্যন্ত দেশটির স্ট্যান্ডালোন হেলথ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়াম সংগ্রহ ১ হাজার ২৮৭ কোটি রুপি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৬৮ কোটি রুপি। অর্থাৎ আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিগুলোর এই প্রিমিয়াম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৯৮১ কোটি রুপি।   

কোভিড-১৯ বীমা দাবির এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে দেশটির দ্বিতীয় জনবহুল রাজ্য মহারাষ্ট্র। সেখানকার বীমা কোম্পানিগুলো ৮৪ হাজার ৪শ’র বেশি দাবি গ্রহণ করেছে। যার আর্থিক মূল্য ১ হাজার ৭৬ কোটি রুপি। বীমাশিল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মুম্বাইয়ের পাশাপাশি পুনে এবং থানের মতো জায়গাগুলোতেও বেশি বীমা দাবি উত্থাপনের খবর জানা যাচ্ছে।

অন্যদিকে তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের মতো রাজ্যগুলোতে যথাক্রমে ২৪ হাজার ১৫৫ এবং ১৭ হাজার ৮শ’ বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এমনকি গুজরাটেও ১৭ হাজার ৩শ’ বীমা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ২৭৩ কোটি রুপি। করোনা ভাইরাস চিকিৎসা জন্য বীমা দাবির এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলো।

বীমাখাতের সঙ্গে জড়িত একজন বলেছেন, যদি করোনা ভাইরাস পজিটিভের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তবে আমরা আগামী দিনগুলোতে আরও বেশি বীমা দাবি দেখতে পাব। আমরা আশা করি খুব শিগগিরই বীমাশিল্পে দাবির পরিমাণ ৩ হাজার ৫শ’ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যাবে।

ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ। আর ৩৯ লাখ ৪২ হাজার সুস্থ হয়েছে এবং মারা গেছেন ৮২ হাজার।

করোনা ভাইরাস মহামারী দেশটিতে স্বাস্থ্য বীমা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করেছে। গ্রাহকরা গত কয়েক মাসে সুনির্দিষ্টভাবে কোভিড-১৯ বীমা পলিসি কেনা অব্যাহত রেখেছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইআরডিএআই করোন রক্ষক এবং করোনা কাভোচ নামে বীমা পলিসি চালুর অনুমতি দিয়েছে। জুলাই থেকে আগস্টের শেষ নাগাদ উভয়ই পলিসির আওতায় ছিল ১৫ লাখের বেশি নাগরিক।